ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরপক্ষের টাকা খেয়ে বিয়ের প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
বরপক্ষের টাকা খেয়ে বিয়ের প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে 

লালমনিরহাট: কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বরপক্ষের টাকা খেয়ে বিয়ের প্রমাণ নষ্টের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন লালমনিরহাট পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপন।  

ক্ষমতার প্রভাবে এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের নামে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে।

অভিযোগটি সরেজমিন তদন্ত করে দাখিল করা প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে দাবি করেছেন লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন।  

পৌর মেয়র বরাবর জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক নারীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম এলাকার আহম্মদ হোসেনের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম তারই প্রতিবেশী জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তারা রংপুর নোটারি পাবলিকে বিয়ে করেন। সেই বিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রি করার জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস তার পূর্ব পরিচিত লালমনিরহাটের পৌর কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তার দেওয়া পরামর্শ মোতাবেক জান্নাতুল ফেদৌস ও ওবায়দুল গত ৩ আগস্ট চলে আসেন লালমনিরহাটে। পরে কাউন্সিলর তুহিন তাদের নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।  

বিয়ে দেওয়ার নাম করে ওই দিন সন্ধ্যায় তাদের শহরের মাঝপাড়ায় নিকাহ রেজিস্ট্রার আমির হামজার অফিসে নিয়ে যান তিনি। সেখানে বিয়ের ফরম নিয়ে নিজেই বর-কনের তথ্য পূরণ করে তাদের স্বাক্ষর নেন কাউন্সিলর তুহিন। এরপর ছেলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিয়ের সব কাগজপত্র নষ্ট করে তুহিন মেয়েটিকে জোর করে রংপুরে মেয়েটির বোনের বাসায় রেখে পালিয়ে যান।

পরদিন থেকে কাউন্সিলরের এবং ওবায়দুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাননি জান্নাতুল ফেরদৌস। বিয়ে হলেও নেই কোনো বৈধ্য কাগজপত্র। ওবায়দুলও বন্ধ করেন যোগাযোগ। অবশেষে বিচার পেতে কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট পৌর মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে টাকা লেনদেন ও প্রতারণার সত্যতা পেয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন মেয়র রেজাউল করিম স্বপন।  

এদিকে গত ১৯ আগস্ট কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অশোভন আচরণের অভিযোগ তুলে লালমনিরহাট সদর থানায়ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জান্নাতুল ফেরদৌস।  

কাউন্সিলর আজিজুর রহমান তুহিন টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মানুষের উপকার করতে গেলে নিজের ক্ষতি হয়। আমার যত ক্ষতি হোক, ওই মেয়েটির আমি উপকার করবই। তাদের বিয়ের বৈধতা দিতে সব কাজ করা হবে।  

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর ফারুক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।