ঢাকা: সৌদি আরবের জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান গবেষক বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষক এহসান হকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মো. আবুল হাসান মৃধা। এ সময় দূতাবাসের মিনিস্টার এসএম রাকিবুল্লাহ ও প্রথম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রিয়াদে সৌদি ডেটা অ্যান্ড এআই অথোরিটির অফিসে এহসান হকের সঙ্গে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এহসান হক জানান, সৌদি আরব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পেছনে ইতিমধ্যেই বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি ভিশন বাস্তবায়নের পাশাপাশি সৌদি আরব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের নতুন মেগা প্রকল্প ও জাতীয়ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে কাজ শুরু করেছে। আগামী দিনে এ সেক্টরে সৌদি আরব নিজের ব্যাপক উন্নতি প্রত্যাশা করছে।
এ সময় দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিশন উপপ্রধান জানান, বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি উন্নয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ সৌদি নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল কোপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্যপদ গ্রহণে কাজ করছে, যাতে সৌদি আরবের সঙ্গে আগামী দিনে ডিজিটাল প্রযুক্তি উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা যায়, তাতে দুদেশই উপকৃত হতে পারে।
বিজ্ঞানী ও গবেষক এহসান হক বলেন, বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী কর্মীরা সৌদি আরবে আসার পূর্বে আরবি বা ইংরেজি ভাষা কিছুটা শিখে এলে এবং যে কোনো কারিগরি দক্ষতা অর্জন করে এলে ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তরুণদের প্রশিক্ষিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
এহসান হক বলেন, আগামী দিনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এ সকল ক্ষেত্রে সৌদি ডেটা অ্যান্ড এআই অথোরিটির সঙ্গে বাংলাদেশের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
টিআর