ময়মনসিংহ: দাদনের টাকা ফেরত দিতে না পেরে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় দাদন ব্যবসায়ীকেই পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে দাদনকারীরা।
খুন হওয়া দাদান ব্যবসায়ীর নাম মো. লাল মিয়া (৫০)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সোহেল মিয়া (৩৫), শাহীন খান (৪৫) ও আব্দুল বারেক (৪০)। এদের মধ্যে শাহীন খান চাকরিচুত্য সেনা সদস্য।
ব্রিফিংয়ে সার্কেল এএসপি আরও জানান, চাকরিচুত্য সেনা সদস্য শাহীন খান একজন চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে থানা পুলিশ ও এলাকাবাসির কাছে পরিচিত। মূলত শাহীন খানের পরিকল্পনায় লাল মিয়াকে অপহরণের পর খুন করে লাশ পুকুরে গুম করা হয়।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, নিহত লাল মিয়া কৃষি কাজের পাশাপাশি এলাকায় দাদন ব্যবসা করতেন। এ সুবাধে ঘাতক সোহেল ও বারেক তার কাছ থেকে টাকা নেয়। কিন্তু ওই টাকা দেই-দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করায় সম্প্রতি টাকার জন্য তাদেরকে চাপ সৃষ্টি করে লাল মিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল ও বারেক এক পর্যায়ে শাহীন খানের পরিকল্পনায় লাল মিয়াকে অপহরণ করে খুন করে লাশ গুম করে দেয়।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন নিহত লাল মিয়া। এরপর দিনভর তাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে সন্ধ্যায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। এ ঘটনার পরদিন গত ৩০ আগস্ট দুপুরে হঠাৎ লাল মিয়ার মুঠোফোন থেকে তার ছেলের নম্বরে কল করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অজ্ঞতরা। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একই এলাকার সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে গ্রেফতার হয় একই এলাকার শাহীন খাঁন ও আব্দুল বারেক।
পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলদীঘি পূর্বপাড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাল মিয়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো: রাসেল মিয়া তারাকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো কাজ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি আবুল খায়ের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
এমএম