ঢাকা, রবিবার, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ০২ মার্চ ২০২৫, ০১ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: স্পিকার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ুর প্রভাব ও সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ সেটি কোনো দেশের পক্ষে এককভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়৷ সে কারণেই বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা উচিত৷ 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।  

স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বৈশ্বিক যে ক্ষতি তাতে বাংলাদেশ দায়ী নয়৷ তবে ক্ষতির দিক থেকে অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখীন বা ভুক্তভোগী দেশ বাংলাদেশ৷ সে কারণেই ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তিনি সেখানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন আমাদের মানুষের জীবিকা রক্ষা করতে হলে আমাদের এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি৷ সে কারণেই বাংলাদেশে এ ধরনের একটি সামিট হওয়া নিশ্চয়ই প্রসংশনীয়৷ সামিটে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের প্রতিনিধি ও সংসদ সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন৷ ভারত নেপাল, ভুটান ও লংকান পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা এখানে এসেছেন৷

তিনি বলেন, আমাদের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা, বায়ু দূষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্বেগের কারণ হচ্ছে৷ এগুলো নিয়ে আলোচনা ও পদক্ষেপ গ্রহণের এটিই মোক্ষম সময়৷

শিরীন শারমিন বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তিকে বর্ডার ট্রেন্ডে কোলাবোরেশন এ আনতে পারি কিনা এমন একটি ধারণা নিয়ে প্রশ্ন  উঠছে৷

নবায়নযোগ্য শক্তির চাহিদা যাতে মেটানো সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে এ ইনিশিয়েটিভ জরুরি৷ পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যাদের কাছে সূর্যের আলো খুবই কম পৌঁছায় আবার কিছুর দেশের ক্ষেত্রে এই আলো খুব প্রখর৷ সূর্যের আলো থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হয় সেটি কিন্তু স্থানন্তরের মডেল নিয়ে ভাবা যেতে পারে৷ আজকে আমরা ওয়াইফাই যুগে তারবিহীন ট্রান্সফার করা গেলে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এ বিষয়টি নিয়ে আঞ্চলিক মডেল নিয়ে কাজ করতে পারি কিনা সেই বিষয়গুলো এ সামিটে গুরুত্ব পাবে৷

তিনি আরও বলেন, ক্লাইমেট পার্লামেট বাংলাদেশ এ আয়োজন করেছে৷ কিন্তু এর মূল আয়োজক ইউকে ভিত্তিক ক্লাইমেট পার্লামেন্ট৷ তারা সারা পৃথিবীতে পার্লামেন্টিরিয়ানদের নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে৷ এ সামিটের সবচেয়ে বড় এবং ভালো একটি দিক হচ্ছে এটি আঞ্চলিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং পদক্ষেপের একটি নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে৷ 

বাংলাদেশ  সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩,
জেডএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।