টাঙ্গাইল: অপহরণের দু-দিন পর টাঙ্গাইলে নিজ বাড়ির পাশের একটি ঝোপ থেকে মিলেছে ৯ বছরের শিশু সামিয়া আক্তারের মরদেহ।
মুক্তিপণ না দিয়ে পুলিশকে জানানোয় শিশুটিকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা - এমনটাই দাবি সামিয়ার পরিবারের।
গত ৬ সেপ্টেম্বর অপহরণ হয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া। একইদিনে সামিয়ার মায়ের মোবাইল ফোনে ইমোতে অপহরণকারীরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি অডিও বার্তা পাঠায়।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলেও অডিও বার্তায় হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
এরপরও সামিয়ার বাবা বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশের একাধিক ইউনিট সামিয়াকে উদ্ধারে নামে।
এরই মধ্যে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝোপ থেকে সামিয়ার লাশ পাওয়া যায়।
শিশু সামিয়া আক্তার টাঙ্গাইল উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার রঞ্জু মিয়া ও রুপা বেগম দম্পতির মেয়ে। সে ওই গ্রামের মাঝিরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
সামিয়ার বাবা রঞ্জু মিয়া বলেন, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চেয়ে মোবাইল ফোনে অডিও বার্তা পাঠিয়েছিল। এ বিষয় কাউকে কিছু না বলারও হুমকি দেয় তারা। কিন্তু তারপরও আমরা থানায় মামলা করেছি। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে আমার ভাই আমিনুল ইসলাম ফোনে জানায়, সামিয়ার লাশ পাওয়া গেছে। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল আটটার দিকে সামিয়া বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে একটি দোকানে সহপাঠীরা কিছু কিনতে দাঁড়ালে সামিয়া একাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। সময়মতো বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে তার মা রুপা বেগম ওই প্রাইভেট শিক্ষককে ফোন দিয়ে জানতে পারেন পড়া শেষে অনেক আগেই সামিয়া বেরিয়ে গেছে। পরে রুপা বেগম মেয়েকে খুঁজতে বের হলে বাড়ির কাছাকাছি একটি স্থানে সামিয়ার জুতা পড়ে থাকতে দেখেন। কিছুক্ষণ পর তার মোবাইল ফোনের ইমোতে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি অডিও বার্তা আসে।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, মেয়েটিকে জীবিত উদ্ধারে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। সামিয়া হত্যাকারীদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
এসএএইচ