ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টানা বৃষ্টিতে দিনাজপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
টানা বৃষ্টিতে দিনাজপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

দিনাজপুর: টানা বর্ষণ আর উজান থেকে আসা ঢলে দিনাজপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে।  

এতে পানিতে তলিয়ে গেছে নদীর তীরবর্তী জনগণসহ নিম্নাঞ্চলবাসী।

পানিবন্দি এসব পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ৬ নম্বর আউলিয়াপুর ইউনিয়নের খামার ঝাড়বাড়ী এলাকার পানিবন্দিদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমিজ আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাথী দাস, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ‌ হোসেন, ৬ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ অনেকে।

এর আগে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হিরাহার ও শান্তিরবাগ এলাকার পাঁচ শতাধিক পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।  

তাদেরই একজন সুমি আক্তার। তিনি বলেন, এখানকার বেশিরভাগ মানুষের ঘরের ভেতরে পানি ঢুকছে। চলাফেরা, রান্না-বান্না কোনো কিছু করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় তো সবারই কষ্ট হচ্ছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ত্রাণ দিল, অনেকেই এগুলো খেতে পারবে।  

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, গত দুদিন ভারী বর্ষণের ফলে দিনাজপুর শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় পানি বেড়েছে। আমরা গতকালও পানিবন্দি লোকজনের মধ্যে খিচুড়ি ও ত্রাণ বিতরণ করেছি। আজ পুনর্ভবা নদীর কয়েকটি স্থানে পানি বেড়েছে। পানিবন্দিদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমরা জেলা প্রশাসন ত্রাণ বিতরণ করেছি এবং তাদের জন্য খিচুড়ি রান্না করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে তাদের জন্য জিআর প্রকল্প থেকে চালের ব্যবস্থা করা হবে, যেখানে প্রতি পরিবার ১০ থেকে ২০ কেজি করে চাল পাবে।

তিনি আরও বলেন, দিনাজপুরে ৫৩ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যেটা বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করবেন। আজ এখানে ৪০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। আশা করছি, দুই-একদিনের মধ্যে পানি কমে যাবে। জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে সব সময় তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলার পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় এ নদীর পানি ৩৩ দশমিক ১৪ রেকর্ড করা হয়েছে।  

জেলার আত্রাই ও ইছামতী নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে বলেও বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।