ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মিয়ানমারের আস্তানা থেকে সাতজন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
মিয়ানমারের আস্তানা থেকে সাতজন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

কক্সবাজার: মানবপাচারকারী চক্রের কবলে পড়ে মিয়ানমারের আস্তানায় বন্দিশালা থেকে নানা প্রক্রিয়ায় সাতজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্রের নারীসহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।  

গ্রেপ্তাররা হলেন- টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল এলাকার ওমর হামজার ছেলে মো. বেলাল উদ্দিন (২৮), সাবরাং ইউনিয়নের লাফারঘোনা এলাকার আব্দুল গফুরের মেয়ে মাহফুজা বেগম (২২), একই ইউনিয়নের গোলারপাড়ার মৃত আব্দুল গণির ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৫৫) ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিডং জেলার পুইমালি এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আয়াছ (২৬)।

উদ্ধাররা হলেন- চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের স্টেশন পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে রায়হান উদ্দিন (২৮), সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার রিয়াবা এলাকার মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. হাবিব উল্লাহ (১৬), কক্সবাজার পৌরসভার বৈদ্যঘোনা খাজামঞ্জিল এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. রায়হান কবির (১৬), একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে মো. আলমগীর (১৮), মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সোনা মিয়ার ছেলে শওকত আজিজ (১৮) ও তার ভাই সফর আলী (১৭) এবং উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী এলাকার মো. ইউনুসের ছেলে মো. মামুন মিয়া (২১)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, গত ৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর থানায় লিপিবদ্ধ হওয়া ২টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়ার কিছু কিশোর ও যুবককে নানা প্রলোভন দেখিয়ে উন্নত জীবনের কথা বলে মালেয়শিয়া পাচারের উদ্দেশে জিম্মি করে। তাদের প্রথমে টেকনাফের লেঙ্গুর বিল এলাকায় নেওয়া হয়। এরপর সাগর পথে মিয়ানমারের একটি আস্তানায় নিয়ে জিম্মি করে। সেখানে জিম্মি করার পর তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ফোনে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে।  

তিনি জানান, স্বজনরা নির্যাতনের খবর পেয়ে নানাভাবে পাচারকারীদের বিভিন্ন অংকের টাকাও দেন। এই টাকা গ্রহণকারী লোকজন ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ পাচারকারী চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তারদের কৌশলে ব্যবহার করে রোববার রাতে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের সমুদ্র সৈকত এলাকায় ফেরত আনা হয় সাতজনকে।  

মিজানুর রহমান জানান, উদ্ধাররা ও গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে আরও নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব তদন্ত করে পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও নিখোঁজ অন্যদের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এসব ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানা ছাড়াও উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
এসবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।