ঢাকা: বাংলাদেশে এ সময় খাল-বিল থেকে প্রচুর পরিমাণে শাপলা পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ।
মুন্সিগঞ্জের আড়িয়ল বিলের আলমপুরগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিলের পানিতে দিগন্তজুড়ে ফুটে রয়েছে শাপলা ফুল। বিলের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে শাপলা। আরেকটু এগিয়ে গেলেই দেখা মেলে নৌকা থেকে শাপলা গাড়িতে তোলা হচ্ছে। এখানকার কৃষকরা শাপলা ফুল থেকে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন। শাপলা সংগ্রহ করে নৌকায় করে চলে যান ঘাটে। এরপর রাজধানীসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।
পাশাপাশি জায়গাটিতে বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়। শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে সকালে দলবেঁধে নৌকা নিয়ে নারী-পুরুষ চলে আসেন এই বিলে।
আজিম উদ্দিন নামে একজন শাপলা বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, আলমপুরগ্রামে আড়িয়ল বিল থেকে আমরা শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করি। এতে বাড়তি আয় হয়, যা আমাদের সংসার চালাতে একটু সুবিধা হয়। এছাড়া বিনা পুঁজিতেই এই ব্যবসা করা যায় বলে সুবিধা বেশি। প্রতিদিন শাপলা তুলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয় বলেও জানান আজিম।
আলমপুর গ্রামের এলাকার কৃষক আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, আমি মূলত কৃষিকাজ করি। বর্ষার পরও জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এই মৌসুমে কৃষি কাজ করতে পারি না, তাই এ সময়ে খাল বিল থেকেই শাপলা সংগ্রহ করি। পরে, সেগুলো বাজারে বিক্রি করে তা দিয়ে সংসার চালাই। আমাদের মতো অনেক কৃষক আছেন, যারা এ সময় বিলের শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করেন।
বর্ষায় শ্রীনগর, সিরাজদিখান মুন্সিগঞ্জ সদরসহ কয়েকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ও ফসলি জমি ও খাল-বিল থেকে অনেক কৃষক ও দিনমজুররা ভোর থেকে শুরু করে শাপলা তুলে তা বাজারে বিক্রি করেন।
বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে আলমপুর গ্রামে বিলের পানিতে শাপলা সংগ্রহ করে সেগুলো বিক্রি করেই অনেক পরিবারের চলে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খাল-বিল ও বিস্তীর্ণ জমিতে শাপলা তুলে নৌকায় করে তা বিভিন্ন পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন কৃষক ও দিনমজুররা। এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন আড়্ৎ মুন্সিগঞ্জ থেকেই শাপলা কিনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
এসআইএস