ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পিচ উঠে বড় গর্ত, একটু বৃষ্টিতেই সড়ক যেন জলাশয়

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
পিচ উঠে বড় গর্ত, একটু বৃষ্টিতেই সড়ক যেন জলাশয়

ফরিদপুর: সড়কের পিচঢালাই উঠে বেরিয়ে গেছে নিচের খোয়া-সুড়কি ও কাদামাটি। কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।

বৃষ্টি নামলেই তাতে জমে থাকে পানি। দেখে বোঝার উপায় নেই এটা পাকা সড়ক না জলাশয়। সড়কের ওই কাদাপানির ভেতর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারো যানবাহন। ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।

এমন চিত্রের দেখা মিলেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা-রসুলপুর পাকা সড়কে। একই চিত্র দেখা যায়, নগরকান্দা-সালথা সড়কের হরিনা এলাকায়। এতে সড়ক দুটি দিয়ে চলাচলরত হাজারো যানবাহন ও মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

বিশেষ করে সালথার নারানদিয়া বাজার থেকে নগরকান্দা বাজার পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই লাজুক। এই সড়কেরও বিভিন্নস্থানে পিচঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকায় যাওয়ার প্রবেশ পথ এই দুটি সড়ক। সালথার মানুষ এই পথ দুটি ব্যবহার করে থাকেন। সড়ক দুটি খারাপ হওয়ায় এখানকার মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালমা-রসুলপুর সড়কের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দে ভরে গেছে। বিশেষ করে তালমা বাজারের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত সড়কের ভয়াবহ অবস্থা। রসুলপুর বাজারের পূর্বপাশের সড়কেরও একই অবস্থা দেখা যায়। এই দুটি বাজার এলাকায় সড়কের বড় বড় গর্তের ভেতরে কাদাপানি জমে থাকায় সাধারণ মানুষ স্যান্ডেল খুলে হাতে নিয়ে বাজার করছে। সড়কের কাদাপানি ঠেলে সামনে এগোচ্ছে সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান রিকশাসহ ছোট-বড় অসংখ্য ট্রাক।

স্থানীয় কৃষক জালাল শেখ ও জব্বার মোল্য বলেন, কয়েকটি ইউনিয়নবাসীর কাছে তালমা ও রসুলপুর বাজারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাটের দিন শতশত কৃষক কৃষিপণ্য বিক্রি করতে এই দুটি বাজারে যায়। কিন্তু বাজার দুটির সড়কের যে অবস্থা তাতে তো পায়ে হেঁটেই চলা মুশকিল। তারপরেও বাধ্য কষ্ট করে মানুষ এই দুটি বাজারে যায়। অন্য বাজারে কৃষকের পণ্য বিক্রি করতে দ্বিগুণ খরচ হয়। তাছাড়া যারা বাজার করতে আসে, তারা পায়ে স্যান্ডেল রাখতে পারে না। স্যান্ডেল হাতে নিয়ে বাজারে ঢুকতে হয়। অনেক সময় গাড়ির চাকার কাদাপানি ছিটে এসে মানুষের জামাকাপড় নষ্ট হয়। কয়েক বছর ধরে এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।

তালমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ার‌ম্যান মো. কামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ইট ফেলে কয়েকবার সড়কটি মেরামত করেছি। সড়কটির বিষয় উপজেলা প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে।

এব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মইনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ওইসব সড়ক দ্রুত সংস্কারের জন্য নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।  

নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোশারফ হোসেন বলেন, তালমা-রসুলপুর সড়ক ও সালথা-নগরকান্দা সড়কের সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। ইতোমধ্যে সড়ক দুটি সংস্কারের জন্য অনুমোদনও হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে সড়কের কাজ শুরু করা।  

এলজিইডির ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামান খান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪,২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।