ঢাকা, বুধবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৪ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

ছেলেদের বলেছিলেন বাসায় ফিরতে দেরি হবে, আর হলো না ফেরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৬, নভেম্বর ৯, ২০২৩
ছেলেদের বলেছিলেন বাসায় ফিরতে দেরি হবে, আর হলো না ফেরা

ঢাকা: অন্য দশ দিনের মতোই আয়-রোজগারের জন্য মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে প্রাইভেটকার নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মহিউদ্দিন। বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ও সন্ধ্যায় দুই দফায় ফোনে কথা বলেন স্ত্রীর সঙ্গে।

এরপর রাতেও ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ছেলেরা জানতে চেয়েছিল, তিনি কখন বাসায় ফিরবেন। ফিরতে দেরি হবে জানিয়ে ছেলেদের রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলেছিলেন মহিউদ্দিন। কিন্তু আর ছেলেদের কাছে বাসায় ফেরা হলো না তার। কয়েকঘণ্টা পর পুলিশ তাদের ফোন করে মহিউদ্দিনের মৃত্যুর খবর জানায়।

কাঁদতে কাঁদতে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বাংলানিউজকে এসব কথা বলছিলেন মহিউদ্দিনের স্ত্রী আর্জু বেগম। মহিউদ্দিন বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীর জয় কালী মন্দির রোডে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান। ঘটনার সময় তিনি নিজের প্রাইভেটকার চালাচ্ছিলেন। তখন একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটির ওপর কাত হয়ে পড়ে। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।

মহিউদ্দিনের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলায়। বাবার নাম মো. তোফাজ্জেল। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন মগবাজারের নয়াটোলার ভাড়া বাসায়।

আর্জু বেগম জানান, টানাটানির সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে বছরখানেক আগে ১০ লাখ টাকা ঋণে প্রাইভেটকারটি কিনেছিলেন মহিউদ্দিন। এরপর নিজেই ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতেন।  

ওয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার কাজ করে। রাতেই মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩
এজেডএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।