ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টানা ১০ দিন পর নীলফামারীতে দেখা দিলো সূর্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
টানা ১০ দিন পর নীলফামারীতে দেখা দিলো সূর্য

নীলফামারী: টানা ১০ দিনের তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পর বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নীলফামারীর আকাশে সূর্য দেখা দিয়েছে।

রোদ দেখা দেওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

কয়েক দিনের ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে যাওয়া মানুষের অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সূর্যের আলো পোহাতে দেখা যায়। সড়কে বেড়ে যায় জন চলাচল। সকালে কর্ম ও শ্রমজীবীরাও কাজে ফিরতে শুরু করে।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের আকাশে সূর্য দেখা দেয়। এলাকার বাসিন্দা জয়ন্তী বালা (৬৫) বলেন, সূর্য ওঠায় ভালো লাগছে। কয়েক দিনের ঠাণ্ডায় একবারে জমে গেছি। দুয়েকদিন রোদ থাকলে ভালো হবে।

সদরের কাদিখোলা এলাকার জমশেদ আলী (৫৩) বলেন, ঠাণ্ডায় হামার মতো গরিব মানুষক মারি ফেলাইছি, কী কষ্টটা না করনু কয়দিন। মানুষের কষ্ট, পশু-পাখির কষ্ট। হিয়ালে ফসলের ক্ষতি। আল্লাহর রহমতে রোদ উঠায় বাঁচিনু বাহে। এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া।

শীতকালীন রোগ থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান বলেন, উত্তরাঞ্চলে বরাবরই শীত বেশি পড়ে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীতের প্রকোপ অনেক বেশি। চলতি মৌসুমে একটানা কয়েক দিন সূর্যের দেখা না পাওয়ায় ভোগান্তি অনেক বেড়ে যায় মানুষের। সাবধানতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। গরম খাবার ও গরম পানি খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত ১০ দিনে এই জনপদে তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা ও সেইসাথে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সকাল ও রাতে বিমান চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। এই কয়দিনে ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।