ফরিদপুর: স্ত্রীর করা মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বরখাস্তকৃত সহকারী পরিচালক (মানবসম্পদ) মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুকে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে ফিজুকে আটক করা হয়। এরপর তাকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গাফফার জানান, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তাকে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, প্রথম স্ত্রীর খোরপোশ ও সন্তানের ভরণপোষণ না দেওয়ায় মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার। মামলা নম্বর- ১০০/২০১৫।
ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত পারিবারিক আদালতের বিচারক ফারিয়া নওশীন বন্বি ওই মামলার রায়ে স্ত্রীর দেনমোহর ও খোরপোশ বাবদ এককালীন চার লাখ আট হাজার টাকা এবং নাবালক সন্তানের ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা প্রদানের আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৭ সালে তা খারিজ করে দেন আদালত।
মামলার বাদী মাকসুদা আক্তার বলেন, আদালতে রায় থাকা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত খোরপোশ বা ভরণপোষণের কোনো টাকাই তাকে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। এমনকি তিনি আদালতেও হাজির হতেন না। এ অবস্থায় আবারও আদালতের শরণাপন্ন হলে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আদালত মোস্তাফিজুর রহমানকে একমাসের কারাদণ্ড দেন। এরপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। ২০১০ সালে মাদক সংক্রান্ত মামলায় জড়িত হয়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পরে তিনি ফরিদপুরে শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীতে এসে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রীও একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
এসএম