ঢাকা: দেশের স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (এমএলএসএস) সরকারিভাবে নিয়োগ হওয়া উচিত বলে মনে করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালেয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে ‘টেকসই শান্তির জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিমিন হোসেন রিমি বলেন, এখন এনটিআরসির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু চাহিদা দিলে দুই বছর লেগে যাচ্ছে একটা স্কুলে শিক্ষক দিতে। প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হয়ে গেছে স্কুলের হাতে। আমরা সবাই জানি ম্যানেজিং কমিটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্বজনপ্রীতি করে। আমরা সমস্যার সমাধান চাই। আমরা যদি সমস্যার সমাধানের কথা না বলি, উপর দিয়ে যদি মাখন লাগাই তাহলে কিন্তু লাভ নাই ভিতরে যদি আমার ফাঁকা থাকে।
‘প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (এমএলএসএস) যে নিয়োগ হয়, সেটা যেন দয়া করে সরকারিভাবে হয়। না হলে আমরা মানসম্মত শিক্ষক পাবো না। এটা করতেই হবে। আর দুই বছর যেন আমাদের অপেক্ষা করতে না হয়। ’
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ এড়াতে মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর কমানোর পক্ষে মত দিয়ে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, আমার মনে হয় এই নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভাতে আরও যদি কমানো যায়, এখন তো ১০ নম্বর। সুপারিশ যেন কোনোভাবে না আসে।
মাধ্যমিক স্কুলগুলো সরকারিকরণের পক্ষে মত দিয়ে রিমি বলেন, এমপিওভুক্ত মানে কি, মান্থলি পেমেন্ট, ৯০ শতাংশ তো সরকার দিচ্ছে। সরকার চাইলে আর একটু পয়সা খরচ করে সরকারিকরণ করে ফেলতে পারে। আমার মনে হয় এটা করে ফেলা উচিত। তাহলে এখান থেকে দুর্নীতি অনেক মুক্ত হয়ে মানসম্পন্ন একটা শিক্ষার দিকে আমরা যেতে পারবো।
বাংলাদেশ সময় ০৭৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
এমআইএইচ/এমএম