কুষ্টিয়া: কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। হেঁটে যেতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট।
মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে দুই লাখ টাকা খরচ করে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন কুষ্টিয়ার এই যুবক।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরা ভিটা গ্রামে আসেন আল আমিন।
পরে মাত্র পাঁচ মিনিটে একই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গাংপাড়া খেলার মাঠে পৌঁছান তিনি।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। এসময় বরের সঙ্গে ছিলেন বড় বোন ও বোনের স্বামী।
বর আল আমিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরা ভিটা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আমিরুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে।
আর কনে তানজুরা খাতুন (১৯) উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গাংপাড়া গ্রামের তাসের আলীর মেয়ে।
এমন আয়োজন বেশ উপভোগ করেছেন গ্রামবাসীরাও। তারা জানান, বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। এতটুকু রাস্তা হেঁটে যেতে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু বর এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। আর বিয়েতে বরযাত্রী গেছেন ১০০ জন। বরযাত্রীদের মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে কনের বাড়িতে পাঠানো হয়।
বরের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রীর শখ ছিল ছোট ছেলে আল আমিনকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাবেন। তার ইচ্ছা পূরণ করতেই এ আয়োজন।
এ বিষয়ে বরের মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘শখ ছিল ছোট ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে পাঠাবো। ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে আনবো। ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে আনতে পেরে অনেক খুশি আমি। ’
বর আল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে চাকরি করছি। মায়ের শখ ছিল হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে যাবো। মায়ের শখ পূরণ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
কনে তানজুরা খাতনু বলেন, আমার ইচ্ছা না থাকলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ইচ্ছায় হেলিকপ্টারে চড়ে এসেছি।
পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজভিজ্জামান কানু বলেন, এ অঞ্চলে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা এটাই প্রথম। দুই গ্রামের মানুষ এ বিয়ে বেশ উপভোগ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
আরএ