ঢাকা, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পিসিজেএসএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিল এমএনপি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
পিসিজেএসএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিল এমএনপি এমএনপি

রাঙামাটি: রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) তিন প্লাটুন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়োগ করেছে বলে মারমা ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি ও বান্দরবানে মারমা জাতি ওপর নিপীড়ন চালানোর উদ্দেশে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ।

 

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ‘এমএনপি কমান্ডো মংথেন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে মেজর রণি এ কথা জানান। রণি এমএনপির একজন কমান্ডার।  

ওই লাইভ ভিডিওতে মেজর রণি অভিযোগ করে বলেন, কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, বান্দরবান ও রোয়াংছড়িতে সশস্ত্র কার্যক্রম জোরদার করেছে জেএসএস। একই সঙ্গে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এমএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক এবং জেএসএস বিরোধী সরকার দলীয় লোক, যারা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে চলে না তাদের হত্যার পরিকল্পনা করেছে।  

তিনি বলেন, জেএসএস সন্ত্রাসীদের গডফাদার সন্তু লারমা ও উষাতন তালুকদারের দিকনির্দেশনায় জেএসএস চাকমা সন্ত্রাসীর কাপ্তাইয়ে অবস্থানরত হিতৈশী বাবু, মায়া বাবু, অপু চাকমা, তুফান, কাজল চাকমা, তিলক মারমা এবং মারমাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী, মারমা দালাল এসমং মারমা, তাইপ্রু মারমা অবস্থান নিয়েছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যে রাজস্থলী উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন, কাপ্তাই উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন এবং বিলাইছড়ি ও রোয়াংছড়ি থেকে সন্তু লারমা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রত্যাহার না করলে এবং এমএনপির কোনো সমর্থক বা মারমা সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তির ওপর একটি ফুলের টোকাও যদি পড়ে তাহলে এমএনপি যুদ্ধ ঘোষণা করবে।

তিনি আরও বলেন, জেএসএস যদি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যে কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি থেকে সশস্ত্র ক্যাডারদের সরিয়ে না নেয় তাহলে ১ ফেব্রুয়ারির পর যুদ্ধ ঘোষণা করবে এমএনপি। এ যুদ্ধ হবে মারমা জাতির মধ্যে থাকা মারমা দালালদের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধ হবে চাকমা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এ যুদ্ধ এতোই ভয়াবহ হবে যে, এই যুদ্ধ আর কখনও থামবে না। এই যুদ্ধ থামবে চাকমা সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করে। এই ধ্বংস করার জন্য বর্তমানে এমএনপির সদস্যরা প্রস্তুত আছে।

এমএনপি কমান্ডার বলেন, প্রয়োজনে সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করার জন্য যদি তিন পার্বত্য জেলায় এমএনপির সদস্যদের নিয়োগ করতে হয় তাহলে অবশ্যই করব।  

তিনি বলেন, সন্তু লারমা, আপনি যদি আপনার দলের কর্মীদের ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যে কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বান্দরবান থেকে সরিয়ে না নেন, তাহলে এবার যে যুদ্ধ হবে সে দায় সম্পূর্ণ আপনাকে বহন করতে হবে। এই যুদ্ধ থামানোর জন্য আপনার তখন কিছুই করার থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।