ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইজতেমায় আসতে চাওয়া মুসল্লিদের যা বললো পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
ইজতেমায় আসতে চাওয়া মুসল্লিদের যা বললো পুলিশ

ঢাকা: ফেব্রুয়ারি মাসের ২-৪ ও ৯-১১ তারিখে টঙ্গীতে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এ আয়োজন নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে মুসল্লিদের বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পুলিশ সদরদপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর মুসল্লিদের জন্য ১১ নির্দেশনার কথা জানান।

নির্দেশনাগুলো হলো-

ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন এবং প্রয়োজনে সহযোগিতা নেবেন। নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করবেন এবং অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং কোনো পোটলা, ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি দেখামাত্র তাৎক্ষণিক আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে জানাবেন।

টাকা, মূল্যবান সামগ্রীসহ একাকী বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা করবেন না এবং সবসময় টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী নিজ হেফাজতে রাখবেন। টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি বা হারিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে জানাবেন।

হকার ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে খাদ্য বা পানীয় গ্রহণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির কবলে পড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

মুসল্লিগণের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে ইজতেমা চলাকালে প্রধান সড়কসমূহ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাঁবু খাটাবেন না কিংবা অন্য কোনোভাবে সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ব্যবহার করবেন না।

অসুস্থ হলে ইজতেমার জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল ও নিকটবর্তী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেবেন।

গুজব শুনলে বা কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে ধৈর্য ধরে সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করবেন।

ট্রেনে নাশকতা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে তাৎক্ষণিক নিকটবর্তী থানা/আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জানাবেন।

রান্না করার সময় আগুন থেকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সর্তক থাকবেন। খিত্তা এলাকায় বা নিজেদের অবস্থানস্থলে ধূমপান করবেন না। খিত্তায় সবসময় পানি মজুদ রাখুন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগরীর প্রগতি সরণি থেকে টঙ্গী ফ্লাইওভার পর্যন্ত, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ফ্লাইওভার থেকে চৌরাস্তা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রধান সড়কের ৫০ গজের মধ্যে মাইক লাগাবেন না।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেনে কিংবা অন্য কোন যানবাহনে চলাচল করবেন না। জরুরি প্রয়োজনে ইজতেমাস্থলের নিকটস্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করুন।

যোগাযোগের জরুরি ফোন নম্বর-
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ: উপ-পুলিশ কমিশনার, উত্তরা- ০১৩২০-০৪১৭৪০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)- ০১৩২০-০৪১৭৪১, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণখান)- ০১৩২০-০৪১৭৪২, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)- ০১৩২০-০৪১৭৪৩, সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা)- ০১৩২০-০৪১৭৫৪, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট)- ০১৩২০-০৪১৭৫৭, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন)- ০১৩২০-০৪৩৯৫৫, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৪১৭৮৯, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা, পশ্চিম থানা ০১৩২০-০৪১৮১৭, অফিসার ইনচার্জ- তুরাগ থানা- ০১৩২০-০৪১৮৪৫, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম- ০১৭১১-০০০৯৯০।  

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ: উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)- ০১৩২০-০৭০৩৩০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ)- ০১৩২০-০৭০৬৪১, সহকারী পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন)- ০১৩২০-০৭০৬৫৮, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৭০৭৫১, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পশ্চিম থানা- ০১৩২০-০৭০৭৫৯, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭২২, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭৩০, ডিউটি অফিসার্র, টঙ্গী পূর্ব থানা- ০১৩২০-০৭০৭৩০, ইজতেমা কন্ট্রোল রুম (হটলাইন)- ০১৩২০-০৭২৯৯৯, কন্ট্রোল রুম, জিএমপি- ০১৩২০-০৭২৯৯৮, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম-০১৩২০-০৭১২৯৮।  

র‌্যাব: র‌্যাব-১ কন্ট্রোল রুম- ০১৭৭৭৭১০১৯৯, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্স কন্ট্রোল রুম- ০১৭৭৭৭২০০২৯ এবং প্রয়োজনে জাতীয়  জরুরি সেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
পিএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।