বরগুনা: ভ্রাম্যমাণ হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্ট পটুয়াখালী সদর ও মির্জাগঞ্জ ঘুরে এবার পৌঁছেছে দেশের উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। ভ্রাম্যমাণ এই হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্ট দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
শনিবার (২৪ ফ্রেরুয়ারি) দুপুরে বেতাগী পৌর এলাকার পুরাতন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন এলাকায় মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে এটি। কেউ ঘুরে দেখছেন হেলিকপ্টারটি কেউবা তুলছেন ছবি। ভেতরে ঢুকতেই অবাক হবেন যে কেউ। কারণ এটি আকাশচারী কোনো যান নয়, হেলিকপ্টারের আদলে তৈরি ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট।
ব্যতিক্রম এই হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্টের প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর ঝাউতলায়। যা মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সড়কপথে ৬৪ জেলাসহ উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা জানান উদ্যোক্তা।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের কাজীরহাট বাজারে ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি মেহেদীর তৈরি হেলিকপ্টারের আদলে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট। হেলিকপ্টারটির পাখা ঘোরে, ফলে কাছে টানছে দর্শনার্থীদের। তাকে এটি তৈরিতে সহযোগিতা করেন তার দুই বন্ধু আরিফ ও আল-আমিন।
শুরুর দিকে তাদের এ কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয়রা হাস্যরস করলেও পরে বাহবা দিয়েছেন। অভাবের সংসারে মেহেদীর লেখাপড়া করা সম্ভব হয়নি। সংসারের ঘানি টানতে একটি ওয়ার্কশপে কাজ শুরু করেন এবং তখন থেকেই ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করেন তিনি। একপর্যায়ে বানিয়ে ফেলেন এই হেলিকপ্টারটি।
হেলিকপ্টার নির্মাতা মো. মেহেদী হাসান বলেন, বানাতে চেয়েছিলাম প্লেন। কিন্তু এতে খরচ বেশি হওয়ায় হেলিকপ্টার বানাই। টাকার অভাবে আরিফুল ইসলাম ও আল-আমিনসহ আমরা তিন বন্ধু মিলে নির্মাণকাজ শেষ করি। হেলিকপ্টারের ভেতরে রেস্টুরেন্ট বানিয়ে সারা বাংলাদেশ ঘোরার পরিকল্পনা রয়েছে এবং সে লক্ষ্যেই এটি তৈরি করেছি।
উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্ট’ তৈরিতে প্রায় সাত মাস সময় লেগেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ রেস্টুরেন্ট নিয়ে ৬৪ জেলায় ঘুরতে চাই আমরা তিন বন্ধু। হেলিকপ্টারের আদলে এটি তৈরি হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘ভ্রাম্যমাণ হেলিকপ্টার রেস্টুরেন্ট’।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
আরএ