কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ অপহৃত পাঁচ কৃষকের মধ্যে চারজনকে ‘পুলিশের অভিযানের মুখে’ ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অপরজনকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাত পৌনে ১ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিমের গহীন পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান, টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
উদ্ধার পাওয়া ৪ জন হল- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে মো. জিহান (১৩), একই এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২) ও মো. ছৈয়দুল্লাহ এর ছেলে মো. শামীম ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান।
জিন্মি রয়েছে একই এলাকার আব্দু রকিমের ছেলে মোহাম্মদ নুর।
এর আগে বুধবার (২০ মার্চ) রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকায় ক্ষেতে পাহারার দায়িত্বে ছিল অপহৃত ওই পাঁচ কৃষক। বৃহস্পতিবার ভোরের আগে মুখোশ পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের তুলে নিয়ে যায়।
স্বজনরা জানিয়েছিলেন, পরে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি স্বজনদের মোবাইল ফোন কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে মোহাম্মদ নুরের স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ ও র্যাব অভিযান শুরু করে। শনিবার পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালায়। পরে রাতে পুলিশের অভিযানের মুখে দুর্বৃত্তরা চারজনকে ছেড়ে দিয়েছে।
ওসি ওসমান গনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃত পাঁচ কৃষককে উদ্ধারে পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালায়। রাতে টেকনাফের শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে গহীন পাহাড়ে পুলিশ সাড়াশি অভিযান শুরু করে। পরে অভিযানের এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ৪ জনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
এসময় উদ্ধার হওয়াদের চোখ-মুখ ও হাত-পা খোলা ছিল। তারা জানিয়েছে, দুর্বৃত্তরা ছেড়ে দেওয়ার আগেই তাদের চোখের বাঁধন খুলে দেয়। জিন্মি হওয়ার পর থেকেই তাদের চোখ বাধা অবস্থায় থাকলেও হাত-পা খোলা ছিল।
ওসি জানান, অপহৃতদের মধ্যে একজন এখনো জিন্মি রয়েছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার হওয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়- ১০১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪,২০২৪
এসবি/এমএম