সিলেট: ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। আটককৃতদের কাছ থেকে ১২৫টি টিকিট জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) র্যাব-৯ এর আওতাধীন সিলেট বিভাগের শায়েস্তাগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একাধিক রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে ১২৫টি আসনের ট্রেনের টিকেটসহ কালোবাজারি চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, মো. আরিফ (৩২), সজল কান্তি চন্দ(৬০), আরিফুল ইসলাম (১৯), রাজিব কুমার দাস(৪৫), মো. স্বপন মিয়া (৪২), মো. ইব্রাহিম ইসলাম রিফাত(২৪) ও মোহাম্মদ সাগর(৩৫)। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে থানায় মামলা দায়েরক্রমে হস্তান্তর করা হয়।
এদিন বেলা ২টায় সিলেট র্যাব-৯ সদর দপ্তর প্রেস ব্রিফিং করে উইং কমান্ডার মো. মমিনুল হক বলেন, ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে এই কালোবাজারি চক্র বিশেষভাবে সক্রিয় থাকে। তারা বিভিন্ন এনআইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে এসব টিকেট ক্রয় করে। তারা হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সেগুলো ট্রেনের টিকেট প্রত্যাশীদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা বিভিন্ন তারিখ ও সময়ের ১২৫টি আসনের অনলাইন টিকেট জব্দ করা হয়।
চক্রের অন্যান্য সদস্য এবং যে কোন পর্যায়ের কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব’র গোয়েন্দা নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে র্যাব-৯ অধিনায়খ বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য জনভোগান্তি কমাতে শতভাগ ট্রেনের টিকেট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংঘবদ্ধ কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা দ্রুত অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের বেশির ভাগ টিকেট ক্রয় করে নেয়।
এসকল তথ্যের ভিত্তিতে ট্রেনের কালোবাজারিদের গ্রেফতারে র্যাব-৯, সিলেট গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ একাধিক আভিযানিক দল গত রোববার (৭ এপ্রিল) রাত থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) সিলেট বিভাগ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একাধিক রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৪
এনইউ/এমএম