ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মদপানে স্কুলছাত্রের মৃত্যু, পরিবার বলছে ‘হত্যাকাণ্ড’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
মদপানে স্কুলছাত্রের মৃত্যু, পরিবার বলছে ‘হত্যাকাণ্ড’

চুয়াডাঙ্গা: বন্ধুদের সঙ্গে অতিরিক্ত মদপানে হামিম (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা হত্যা বলে অভিযোগ করেছে নিহত হামিমের পারিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হামিমের। এর আগে গত ৮ এপ্রিল বন্ধুদের সঙ্গে মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হামিম তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মহিবুল ইসলামে ছেলে। সে স্থানীয় আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।  

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, গত ৮ এপ্রিল সোমবার রাতে ৭-৮ বন্ধু হামিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় দোকান থেকে চানাচুর ও চিপস কিনে আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যালয়ের পাশে একটি মাঠে সবাই মিলে মদপান করে। এ সময় জোরপূর্বক হামিমকে তিন বোতল মদপান করালে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে তার বন্ধুরা হামিম মারা গেছে ভেবে তাকে মাঠে ফেলেই চলে যায়।

এরপর খোঁজাখুঁজির পরদিন সকালে এক কৃষক হামিমকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহত স্কুলছাত্রের নানা মিনাজ উদ্দিনের অভিযোগ, হামিম কোনোদিন ধুমপান পর্যন্ত করেনি। তাকে নিয়ে গিয়ে জোর করে মদপান করানো হয়। হামিমের কাছে নগদ সাত হাজার টাকা ছিল। টাকাগুলো নিয়ে নিয়েছে তারা। তার মোবাইল ফোনটিও ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।