ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দরকারে ফুটপাতে কথা বলব, তবু রাজভবনে যাবো না: মমতা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
দরকারে ফুটপাতে কথা বলব, তবু রাজভবনে যাবো না: মমতা 

কলকাতা: ফের পশ্চিবঙ্গের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, ‘দরকারে ফুটপাতে কথা বলব, তবু আর রাজভবনে যাব না’।


 
শনিবার (১১ মে) পশ্চিমবঙ্গের হুগলি এবং হাওড়ার দুইটি নির্বাচনী প্রচারণা থেকে এই ইস্যুতে রাজ্যপালকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রী বলেছেন, এই একটা ঘটনা নয়। এরকম অনেক ঘটনা আছে। আমি অনেকদিন ধরেই জানি। মহামান্য, তাই কিছু বলতে পারছি না। শোভনীয় নয়। তবে তোমার মত লোকের কাছে এখন নারীরা যেতে ভয় পাচ্ছে। আমাকেও যদি তুমি কথা বলতে ডাক, আমিও আর রাজভবনে যাব না। প্রয়োজনে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কথা বলব। কিন্তু তোমার পাশে দাঁড়িয়ে আমি কথা বলব না। একটা নয়, তুমি অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছ। এদিন রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করেছেন মমতা।

গত ২ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে কলকাতার থানায় অভিযোগ জানান এক নারী। নিজেকে তিনি রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী বলে দাবি করেছেন। এরপরই ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল এক বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজভবন চত্বরে কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রবেশ করতে পারবে না। একই সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও রাজভবনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, সত্যের জয় হবেই। কোনো কৌশলের সামনে তিনি মাথা নত করবেন না। বাংলার দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবে না।

পরবর্তীতে, রাজ্যপাল আর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ ইচ্ছুক রাজ্যবাসীকে দেখতে পারবেন। কিন্ত মমতা এবং তার পুলিশকে এই ফুটেজ দেওয়া হবে না। সেই মোতাবেক কলকাতার সাংবাদিক এবং ইচ্ছুক মিলিয়ে একশো জনকে সেই ফুটেজ দেখানো হয়। যদিও তাতে অশালীন কিছুই পাওয়া যায়নি। রাজভবনের তরফে সেই সিসিটিভি ফুটেজ বিষয়ে শনিবার (১১ মে) মমতা বলেছেন, প্রেসকে ডেকেছিল। এডিট করে কিছু ভিডিয়ো দেখিয়েছে। পুরোটা দেখিয়েছে কি? আমার কাছে কপি আছে। যেটা এডিট করেছে সেটাও আছে।

এর আগে ৩ মে এই একই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই আবহে বিপাকে পড়েছে পুলিশ। কারণ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ডায়েরি নিতে পারে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, ১১ মে ২০২৪
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।