ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: বস্ত্রমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: বস্ত্রমন্ত্রী

ঢাকা: বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসে ব্যবসা করা বাঙালিরাও এনবিআর ও কাস্টমসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে। এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে এটা বড় সমস্যা।

আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো, এমনাটাই জানালেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।  

তিনি বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা যখন চিহ্নিত সমাধান হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব এবং সমাধানগুলো খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গতকাল কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। তিনি এনবিআর সম্পর্কে এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া সাংবাদিকরা রয়েছেন অনেক কথা আছে যেগুলো আমি বলতে পারব না। সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে। আমি সম্প্রতি ওমরা হজ করে এসেছি। সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসে ছিলেন। বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে।

দুটি বিষয়, একটি হলো রেমিটেন্স পাঠানো আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, তারা যে সমস্ত মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের, এনবিআর সমস্যা। সর্বসাকুল্যে আমি বলব এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যা গুলো রয়েছে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবথেকে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনেও আপনারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। এই শিল্পের কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ফিরে এসেছে। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।  

বিজিএমইএ'র দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এটা শিল্পনীতি হতে পারে না। আপনারা নগদ সহায়তা প্রদান ২০২৬ সাল পর্যন্ত দলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সব থেকে হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন। উনি একজন সৎ কিন্তু উনার নিচে যারা আছে... আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি- রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোন বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানি মুক্ত ব্যবসা করতে চাই।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে শিল্প করা যাবে না। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না করেই বাহিরে শিল্প করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিলে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সার্কুলার তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ১৩,২০২৪
জিসিজি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।