ঢাকা: ধর্ম নিয়ে যে সংকীর্ণতা, সেটির সমস্যা-সমাধান ও তার যে মর্মার্থ, সেটি সহজভাবে অনুধাবন করেছেন সাঁইজি লালন শাহ্। তিনি তার সুরে, তার সঙ্গীতের সাধনায়, তার ধ্যানে, সবকিছুর মধ্যেই সেসব নিয়ে গেয়েছেন মানবতার গানে।
শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় তিন জেলায় নয় দিনব্যাপী বাংলাদেশ - ভারত বাউল সংগীত উৎসবের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
জাতীয় পর্যায়ে ফকির লালন সাঁইজীর সার্ধ-দ্বিশততম আবির্ভাব বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি বলেন, লালনের রচনা থেকে আমরা সারাক্ষণই তার দর্শন, তার আধ্যাত্মিক চেতনা, তার মানবতাবোধ; এই বিষয়গুলোই খুঁজে পাই। সব জায়গায় সেটাই আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করছে। এখানে যে বাউল, তার তো আসলে কোনো ধর্ম নাই বা কোন বিশেষ গোষ্ঠী, কোন দলীয় পরিচয় বা সেরকম কিছু গোত্রের পরিচয় নাই। সেটাই তো অসাম্প্রদায়িকতার অন্যতম সুর। ধর্মের দোহাই দিয়ে বাউলকে নিয়ে যেভাবে এক ধরনের বিরোধিতা চলে, এক ধরনের মনোভাব রাখা হয় এবং কখনো কখনো আমাদের এখানেই বাউল ফকিরদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে, এটা আমাদের কখনোই কাম্য নয়।
লালন বিশ্বসংঘের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে এসময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের (আইজিসিসি) পরিচালক ড. মৃন্ময় চক্রবর্তী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, খ্যাতিমান লালনশিল্পী ফরিদা পারভীন এবং বিশিষ্ট লালন গবেষক ও লালন বিশ্বসংঘের নির্বাহী পরিচালক আবদেল মাননান।
ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশে তিন জেলায় নয় দিনব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৭-১৯ মে ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ২০-২২ মে শেরপুর শিল্পকলা একাডেমি এবং ২৪-২৬ মে গোপালগঞ্জ এই বাংলাদেশ - ভারত বাউল সংগীত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
এইচএমএস/এসএএইচ