ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বড়লেখায় হঠাৎ বন্যা

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বড়লেখায় হঠাৎ বন্যা

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা।

ঝড়-তুফানে বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ে ও বৈদ্যুতির খুঁটি উপড়ে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর বুধবার (২৯ মে) মধ্যরাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক স্বাভাবিক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর পর্যন্ত থেমে থেকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। এ রূপ বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢল নামে। এর ফলে সৃষ্টি হয় হঠাৎ বন্যা।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের অন্তত পাঁচ স্থানের সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। তিনদিন ধরে জলাবদ্ধতায় উপজেলা ও পৌরসভা এলাকার নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবী কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহালেও এখনও মেলেনি সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা।

বড়লেখা উপজেলার দোহালিয়া, পূর্ব-দক্ষিণভাগ, কাঠালতলী উত্তরভাগ, পানিধার, দক্ষিণ গাংকুল, পৌরসভার হাটবন্দ, উত্তর চৌমুহনী, বারইগ্রাম, আদিত্যের মহাল, মুছেগুলসহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে যেতে এবং অধিকাংশ বসতবাড়ি জলাবদ্ধ থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন কলোনিতে বৃষ্টির ও পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শহরের উত্তর চৌমুহনী ও পাখিয়ালা এলাকায় অনেকের দোকানপাটে পানি ঢুকে লাখ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে গত তিনদিনের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণভাগ, রতুলিবাজার, কাঠালতলী বাজার, পানিধার, উপজেলা চত্তরের সামনের সড়ক তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি থামলে পানি নামলেও পরবর্তী বৃষ্টিপাতে পুনরায় সড়ক তলিয়ে যাচ্ছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জানান, রিমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা তিনি পরিদর্শন করছেন। পৌরসভা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখনও অনেক রাস্তাঘাট, কলোনি, বসতবাড়িতে ও দোকানপাটে পানি রয়েছে। তাৎক্ষণিক জলাবদ্ধ স্থানের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সরকারিভাবে এখনও কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।

তবে তিনি প্রত্যেক ওয়ার্ড কমিশনারকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তার কাছে পাঠানোর জন্য বলেছেন। দ্রুত সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান জানান, উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছেন। এখনও সরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
বিবিবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।