বরগুনা: জেলার পাথরঘাটায় সাবেক জামাতাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে বসতবাড়িতে লুটপাট করার অভিযোগে শ্বশুর ইউপি সদস্যে মো. মহিউদ্দিন পান্নাকে (৫০) তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ জুন) বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহবুব আলম এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
মহিউদ্দিন পান্না পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের মৃত রশিদ মৃধার ছেলে। তিনি পান্না নাচনাপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য।
জামাতা আব্দুল্লাহ আল-নোমান একই ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের খালেক খলিফার ছেলে।
এ ঘটনায় নোমানের মা রেনু বেগম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল আসামি পান্নাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল-নোমান, মহিউদ্দিন পান্না মেম্বারের মেয়ে লায়লা আক্তার পপিকে বিয়ে করেন। পরে পারিবারিক বিরোধের জেরে আব্দল্লাহ আল নোমান তার স্ত্রী লায়লা আক্তার পপিকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পরও আসামি পান্না মেম্বার তার মেয়ে লায়লা আক্তার পপিকে নোমানের বাড়িতে থাকতে বাধ্য করেন। কিন্তু নোমান পপিকে তার বাবার বাড়ি যেতে বলায় ২০১৯ সালের ৭ জুন সকাল অনুমান সোয়া ৬টায় পান্নাসহ আট থেকে ১০ জন নোমানের বাড়িতে ঢুকে ঘরের মালামাল লুট করে নেয়। এতে নোমান বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে মাথায় মারাত্মক জখম করেন। এসময় নোমানের মাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহত নোমান বলেন, আমার স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে তালাক দেই। আমার সাবেক শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না দলবল নিয়ে আমাদের বসত ঘরে ঢুকে আমার মাকে আমাকে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করেন। এবং ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এখনও আমার বাড়ি পান্নার দখলে। আমি বাড়ি যেতে পারি না।
আদালত প্রাঙ্গণে আসামি পান্না বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এসএম