ঢাকা: ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রামে একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে দা-বটি নিয়ে হামলার মামলায় দণ্ড নিয়ে রিভিশন (আপিল) নিষ্পত্তি করেছে হাইকোর্ট। আর হাইকোর্ট পর্যন্ত এ মামলার নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছে প্রায় ৩৬ বছর।
২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায়টি দেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ। সম্প্রতি এই রায়টি প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে নিম্ন আদালতে দণ্ডিত এক আপিলকারীকে ছয় মাসের দণ্ড থেকে রেহাই দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী।
নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮৭ সালের ২২ নভেম্বর মীরসরাইয়ে পুকুরের মালিকানা নিয়ে একটি সালিসি বৈঠকে দা, বটি ও ছুরি দিয়ে হামলার ঘটনায় মামলা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। মামলার বিচার শেষে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ১৯৮৯ সালের ৪ এপ্রিল ফয়েজ আহমেদকে ছয় মাসের ও নিজাম উদ্দিন ওরফে জসিম উদ্দিনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিলের পর চট্টগ্রামের বিশেষ দায়রা জজ আদালত ২০০৬ সালের ১ মার্চ আপিল নামঞ্জুর করেন। এরপর ফয়েজ হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করেন। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে রিভিশন হাইকোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বাতিল করে করেন। আসামি ফয়েজ আহমেদকে দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে খালাস দেন।
রায়ে আদালত বলেন, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি করেছে আপিলকারী ফয়েজ আহমেদ। অপরটি তার বিরুদ্ধে। ফয়েজ আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার এক নম্বর সাক্ষী শোনা সাক্ষী। দুই নম্বর ও তিন নম্বর সাক্ষীর বিরুদ্ধে ফয়েজ আহমেদ মামলা করেছেন। চার নম্বর সাক্ষী ডাক্তার। ৫ নম্বর সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা। কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষী নেই। প্রসিকিউশন পক্ষ কোনো প্রকার সন্দেহের অবকাশ ব্যতীত প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৪
ইএস/এমজে