নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকার রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। উঠে গেছে পিচ, দেখলে মনে হয় চাষ করা জমি।
এদিকে পৌরবাসীর এ সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই পৌরসভার।
সৈয়দপুর তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক ও শহরের প্রধান সড়ক শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক হয়ে রেলওয়ে কারখানা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কটি একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়ক দুটি পিচ ও পাথর উঠে হাড্ডিসার হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গাচোরা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে। হেঁটেও চলাচল দুরুহ হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে/সংস্কারে বাজেট বরাদ্দ রাখলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
ওই দুটি সড়কসহ পৌরসভার অন্যান্য সড়ক মেরামত এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেন নির্মাণের জন্য পৌরবাসী সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে এলাকার লোকজন ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে মেয়রের অপসারণ দাবি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, পৌরসভার কাজে লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভার মেয়রের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে পৌরসভার ২০ কাউন্সিলরের মধ্যে ১৫ জন অবস্থান নিয়েছেন। করেছেন প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন। ফলে প্রতিটি কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। উন্নয়ন কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কাউন্সিলর জানান, পৌর মেয়রের আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় তারা মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না।
প্রথম শ্রেণির সৈয়দপুর পৌরসভাটি টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ করে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সুপরিকল্পিত উন্নত ড্রেনেজ, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাসহ নানামুখী কাজ বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও বাস্তবে মিলছে না তার অস্তিত্ব। বেহাল সড়ক, বর্জ্য অব্যবস্থাপনা, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত পৌরসভাটি।
শহরের কলাহাটি, স্মৃতি অম্লান চত্বরের সামনে, হাতিখানা সড়ক, পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড় পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও সড়ক থেকে সরে না ময়লা-আবর্জনা- এমন অভিযোগ পৌরবাসীর। বৃষ্টি হলেই বাস-বাড়িতে ঢুকছে পানি। জলাবদ্ধতায় পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে প্যানেল মেয়র-১ শাহিন হোসেন বলেন, রাস্তা ও ড্রেন মেরামতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আশা করি, এ বছরই কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৪
এসআই