ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৯ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্র নিহতের ঘটনায় ৩০ নাগরিকের নিন্দা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
ছাত্র নিহতের ঘটনায় ৩০ নাগরিকের নিন্দা

ঢাকা: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া ও হতাহতের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩০ নাগরিক।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও আন্দোলনরত ছাত্রের প্রাণহানি ও বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় আমরা মর্মাহত।

আমরা ছাত্র নিহতের ঘটনায় গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশের পাশাপাশি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং দ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি। ”

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফের গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিবৃতিদাতা হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন—অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, নির্মলেন্দু গুণ, সুজেয় শ্যাম, ডা. সারওয়ার আলী, আবেদ খান, কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী বীর প্রতীক, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, খুশি কবীর, হারুন হাবীব, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক শফি আহমেদ, অধ্যাপক আবদুস সেলিম, অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, ম. হামিদ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গোলাম কুদ্দুছ, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, শ্যামল দত্ত, অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, লাকী ইনাম, সারা যাকের, শিমুল ইউসুফ, সঞ্জীব দ্রং এবং আহকাম উল্লাহ।

বিবৃতিদাতারা বলেন, “আমরা গভীর উদ্বেগ, বেদনা ও পরিতাপের সঙ্গে বর্তমান ক্রমবর্ধমান সংঘাতময় পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি এবং এর আশু সুরাহা কামনা করছি। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ-প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে ছাত্র সমাজ ও সরকারের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে অভিন্ন মত রয়েছে। হাইকোর্টের রায়েও সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার-সাধনে অধিকার প্রদান করা হয়েছে। সংস্কারের বিভিন্ন দিক বিচার-বিবেচনা ও আলোচনা এই মুহূর্তে বিশেষ জরুরি। ”

“পারস্পরিক মতামত গ্রহণ ও মতবিনিময় প্রক্রিয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ সাপেক্ষে চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে প্রতিবাদী ছাত্রসমাজের দিক থেকে সুচিন্তিত সংস্কার প্রস্তাবনা যেমন আমরা কামনা করবো, তেমনি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞজনের পরামর্শেরও আমরা প্রত্যাশী। সরকারের পক্ষ থেকে সকল পক্ষের এই আলোচনা প্রস্তাবনা ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ”

৩০ বিশিষ্ট নাগরিক মনে করেন, সরকার ও আন্দোলনরত ছাত্রসমাজ কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এর সৃজনশীল বাস্তবায়নের অনেক উদাহরণ তারা তৈরি করেছে। ক্ষুব্ধ পরিবেশে এর ব্যত্যয় যারা ঘটায় তারা ছাত্রসমাজের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করে না। “

বিবৃতিতে তারা বলেন, “কোটা সংস্কারের পক্ষে আদালতের অভিমত ও জাতীয় ঐকমত্য সবাই মিলে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে অগ্রসর হওয়া সম্ভব বলে আমরা মনে করি। এই লক্ষ্যে সকলের উদ্যোগী ও সহনশীল ভূমিকা এবং অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ আমরা প্রত্যাশা করি। ”

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।