ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনার আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা সমন্বয়কদের, একাংশের প্রত্যাখ্যান 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
খুলনার আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা সমন্বয়কদের, একাংশের প্রত্যাখ্যান 

খুলনা: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন খুলনার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত ১১টার দিকে খুলনা সার্কিট হাউজে খুলনা সিটি মেয়র, সংসদ সদস্য ও উপ-পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন তারা।

কিন্তু শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ, প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের পক্ষে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তানভির আহমেদ। আর আজম খান কমার্স কলেজের পক্ষে ঘোষণা দেন শেখ রাসেল।

বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাত শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈঠক করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার রকিবুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হুসাইন খান, খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী ও রাজু রায়সহ ১১ শিক্ষার্থী, আজম খান কমার্স কলেজের তিনজন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা। বৈঠকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহুরুল তানভীর বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সমন্বয়ক নেই। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই স্বতস্ফূর্ত ভাবে ব্যাচভিত্তিক এই আন্দোলন করেছে। এখানে আমরা আমাদের শিক্ষকদের মাধ্যমে আলোচনায় এসেছি। সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমাদের নানা আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ সকল মৃত্যুর তদন্ত ও বিচার হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমরা শুরু থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করেছি। আন্দোলনের নামে যেন কোনো পক্ষ সহিংসতা না করতে পারে এ জন্য আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।

আযম খান কমার্স কলেজের পক্ষ থেকে আন্দোলনের সমন্বয়ক রাফসান জানি বলেন, সংসদ সদস্য আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন শান্তিপূর্ণ ভাবে এই আন্দোলন করার জন্য। আমরা আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।

খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল আরও জানান, খুলনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবে না। আর হয়ে থাকলেও প্রত্যাহার করা হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবির বিষয়ে খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে মঙ্গলবার রাতেই শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ, প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন। অনলাইনে বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, খুলনার গ্রুপে এই তথ্য জানানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মিরাজ অন্য সব সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের পক্ষে এই ঘোষণা দেন।

পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্যাডে ‘স্পষ্ট বিবৃতি’ শিরোনামে আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক গ্রুপ ‘কেইউ ইনসাইডার’ এবং ‘থট বিহাইন্ড দ্যা কেইউ’ প্রকাশ করা হয়। এতোদিন এই দুটি গ্রুপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি ঘোষণা এবং প্রকাশ করতেন।

স্পষ্ট বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট কোনো সমন্বয়ক ছিলো না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে জোরপূর্বক যে প্রেস ব্রিফিং করানো হয়েছে তা নোংরা রাজধানীর অংশ ছাড়া কিছুই নয়। এ অবস্থায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা,জুলাই ৩১,২০২৪
এমআরএম/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।