ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কোটা আন্দোলন: গ্রেপ্তার-রিমান্ডের তালিকায় বিচারপতির ছেলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
কোটা আন্দোলন: গ্রেপ্তার-রিমান্ডের তালিকায় বিচারপতির ছেলে

ঢাকা: কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার-রিমান্ডের তালিকায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ছাত্রসহ সব শ্রেণির মানুষ রয়েছেন। সে তালিকায় রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতির ছেলেও।

তার নাম মাহমুদুস সালেহীন। যিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানের ছেলে। এরই মধ্যে দুই দফায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

গত ২১ জুলাই মাহমুদুস সালেহীনকে বিটিভি ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। সে রিমান্ড শেষে গত ২৬ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কাফরুল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ২৮ জুলাই ফের তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, যা এখনো চলমান।

এছাড়া রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা রয়েছে বলে জানান তার আইনজীবীরা। তিনটি মামলাতেই এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে মাহমুদুস সালেহীনকে। তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো হলো- বিটিভি ভবনে হামলার ঘটনায় রামপুরা থানার মামলা নং ১৯(০৭)২৪, মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কাফরুল থানার মামলা নং ২৩(০৭)২৪ ও নাশকতার অভিযোগে হাতিরঝিল থানার মামলা নং২২(০৭)২৪।

মাহমুদুস সালেহীনের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বুধবার বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে মাহমুদুস সালেহীনকেও নাশকতার এ তিনটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। তিনি হাইকোর্ট বিভাগে দায়িত্বরত একজন বিচারপতির ছেলে। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সম্পৃক্ত নন। তারপরও পুলিশ তাকে এসব মামলায় আসামি করে ও গ্রেপ্তার করেছে। এরই মধ্যে দুই মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। এ থেকেই বুঝা যায় আসলে অবস্থা কতটা ভয়াবহ। রাজনৈতিক নেতাকর্মীতো বটেই কেউই গণগ্রেপ্তার থেকে রেহাই পাচ্ছে না।   

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।