বান্দরবান: দুদিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের লামা পৌর এলাকাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
লামা উপজেলার মাতামুহুরী নদী, লামাখাল, ইয়াংছা খাল, বগাইছড়িখাল ও পোপা খালসহ বিভিন্ন স্থানের পাহাড়ি ঝিরিগুলোতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে অতিবৃষ্টির কারণে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে আর ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেক সাধারণ জনগণ আশেপাশে অবস্থান করছেন।
এদিকে বৃষ্টির কারণে সকালে বান্দরবান-থানচি সড়কের জীবননগর এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে সড়কে এসে জমে থাকার কারণে বান্দরবানের সঙ্গে থানচি উপজেলায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক থেকে ধসে পড়া মাটি অপসারণে কাজ শুরু করেছে।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি জানান, সেনাবাহিনীর সহায়তায় বান্দরবান-থানচি সড়কের জীবননগর এলাকার সড়ক থেকে মাটি অপসারণের কাজ করছি, দ্রুত সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে আর তাই সাধারণ জনগণকে নদীর তীরবর্তী স্থান থেকে এবং ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।
লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল জানান, কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হওয়ায় লামা উপজেলার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এখন লামা মাতামহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে লামা উপজেলায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় শঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকার জনগণ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৪
এসআই