ঢাকা, সোমবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, আয়কর অফিস ভাঙচুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৪
সিলেটে নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, আয়কর অফিস ভাঙচুর

সিলেট: সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। আগুন দেওয়া হয়েছে কর্মকর্তার একটি গাড়িতেও।

এরপর পার্শ্ববর্তী বোরহান উদ্দিন সড়কে অবস্থিত আয়কর অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করা হয়।

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে সিলেট নগরের উপ-শহর শাহজালাল ব্রিজ সংলগ্ন আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তার গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। আতঙ্কিত হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পার্শ্ববর্তী গার্ডেন টাওয়ারে গিয়ে আশ্রয় নেন।

সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অবশ্য এ ঘটনায় তাদের কেউ হতাহত হননি। প্রাণভয়ে পার্শ্ববর্তী বহুতল ভবন গার্ডেন টাওয়ারে আশ্রয় নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ডাকে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে বিকেল ৪টার দিকে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন নির্বাচন অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেন। এরপরে হামলাকারীরা আয়কর অফিসে ভাঙচুর করেন।

এর আগে সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বিক্ষিপ্তভাবে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত শতাধিক আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় নগরের কোর্ট পয়েন্টে আন্দোলনকারীরা জড়ো হন। আধা কিলোমিটার দূরে সরকার পক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরের চৌহাট্টা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন।

নগরের কোর্ট পয়েন্টে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর সংঘর্ষ ছড়িয়েছে বিভিন্ন স্থানে। এরপর নগরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ছে।

দুপুর ১টা থেকে নগরের জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, বারুতখানা, জেলরোড, হাওয়াপাড়া, মিরবক্সটুলা, নয়াসড়ক ও আম্বরখানাসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন। তারা সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পুলিশ দেখামাত্র তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। জবাবে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। মুহুর্মুহু গুলির শব্দ ও সংঘর্ষে নগরজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে নগরের রাস্তাঘাট ফাঁকা রয়েছে।

এরপর দুপুর দেড়টার দিকে নগরের তেলিহাওর থেকে আওয়ামী লীগের মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের প্রবেশদ্বার ক্বীনব্রিজ সংলগ্ন সুরমা মার্কেট পয়েন্টে আসে। সেখানে লাঠিসোঁটা হাতে জড়িত হন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।  

পরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থান নেওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৪
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।