ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী

ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (এইচপিএমও) নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে সেখানে সেনা সদস্যদের দেখা যায়।

সোমবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি চলাকালীন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলে তার কার্যালয় ঢুকে পড়ে সাধারণ জনগণ। সেখানে ভাঙচুর করা হয়, বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায় উৎসুকরা। এরপর আগুনও দেয় তারা।

মঙ্গলবার এইচপিএমওয় গিয়ে দেখা যায়, সেনা সদস্যরা ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন। কাউকে তারা ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। বাইরে অবস্থান করছেন শত শত মানুষ।

বাইরে থেকে দেখা যায়, কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, অফিসের কাগজপত্র, কয়েকটি পোড়া গাড়ি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়োজিত বাইরের পুলিশের চৌকিগুলো ভাঙচুর অবস্থায়। ভেতরের চৌকিগুলোয় সেনা সদস্যরা পাহারারত।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সাধারণ জনগণ এইচপিএমওর সম্মুখভাগের উত্তর সাইডের দেয়ালের তিনটি স্থান ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এরপর সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙা দেয়ালগুলো দিয়ে ভেতরে দেখছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এক পথচারীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সোমবার অফিসের ভেতরে ঢোকার ছবি দেখেছিলাম টেলিভিশনে। আসা হয়নি। এখন এসেছি, কিন্তু এখন তো আর ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। তাই বাইরে থেকে দেখছি। যে মানুষটিকে সরানোর জন্য এত মানুষ জীবন দিল, সে কেমন অফিসে বসতেন তাই দেখার জন্য এসেছি।

মহাখালী থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে এসেছেন মাইনুল হাসান। তিনি তেজগাঁও কলেজে পড়াশোনা করেন। আন্দোলনরত ছাত্রদের অন্যতম একজন তিনি। সোমবার দুপুর ২টার দিকে তিনি মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তরার থেকে মিছিল নিয়ে এসেছিলেন। এ সময় পিএম অফিসে বাঙচুর ও লুটপাট দেখতে পান। বন্ধুদের নিয়ে তিনি এসব কর্মকাণ্ড করাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। লুট করা জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভেতরের গেটের সামনে জড়ো করেন। রাত আটটা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতার কাছ থেকে সব জিনিসপত্র নিয়ে সেনাবাহিনীর লোকজনকে ডেকে হস্তান্তর করেন মাইনুল হাসান।

শেখ হাসিনার পতনে খুশি সুলতান মাহমুদ। তিনি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এসেছেন উত্তরা থেকে। তিনি বলেন, কালকের বিজয় আনন্দে ভেতরে যাওয়া হয়নি। আজকে দিনের আলোয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দেখতে এসেছিলাম। সেনারা পাহারা দিচ্ছে, ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে থেকে দেখছি। হাসিনার বিদায়ে আমি খুবই আনন্দিত। বাকস্বাধীনতা ছিল না। কথা বলার সুযোগ ছিল না। ব্যবসা করতে মানুষকে টাকা দিতে হতো। শেখ হাসিনা পালিয়েছে এখন আমরা মুক্ত। আগে যারা টাকা নিতো এখন তারা আর কেউ নেই। এখন আমরা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারব। মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরবো। কেউ ধমক দেবে না। ব্যবসা করতে গিয়ে কাউকে টাকা দিতে হবে না। আমরা এটাই চেয়েছিলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৪
জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।