ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সড়কে শিক্ষার্থী ও যুবরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২৪
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সড়কে শিক্ষার্থী ও যুবরা

ব‌রিশাল: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাঠে নেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের সদস্যরা। ফলে বরিশালে নগরের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নজরদারির পাশাপাশি ও ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

 

এমন পরিস্থিতিতে বিভাগীয় শহর বরিশালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা শাখার সদস্যদের ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে নগরের গুরুত্বপূর্ণ ও যানজটপূর্ণ এলাকা সদর রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এবং জনবহুল এলাকা বরিশাল নদীবন্দরসহ বান্দরোডে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা শাখার সদস্যদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে।

যদিও অফিস খোলার নির্দেশনা দেওয়ার পর প্রথম দিন মঙ্গলবারে (৬ আগস্ট) সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম ছিল বরিশালে। তাই সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপও তুলনামূলক কম ছিল। নগরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, আওয়ামীলীগপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-চিকিৎসক, আইনজীবীদের তাদের কর্মস্থলে দেখা যায়নি। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ কিছুটা নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকায় ঘর থেকে বাহিরে তেমন একটা বের না হওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ কম ছিল।  

নগরের কালুশাহ সড়কের বাসিন্দা আরিফ বলেন, সোমবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ঘোষণার পর বরিশালজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। আবার নগর ভবনসহ সরকারি স্থাপনাতেও হামলা হয়েছে। এসব কারণে সোমবার রাতে অনেকটা আতঙ্কেই ছিলাম। তবে শনিবার সকাল থেকে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হলেও রাস্তাঘাটে পুলিশ সদস্যদের না দেখে বুঝলাম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনও সক্রিয় নয়। তাই আবার বাসায় ফিরে আসি।  

উল্লেখ্য শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ঘোষণার পর বরিশাল নগরের কালিবাড়ি রোডে সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবন, নগরের করিম কুটির এলাকায় সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের বাসভবন এবং আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও সিটি করপোরেশনের অ্যানেক্স ভবনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি একদল পুড়ে যাওয়া এসব ভবনসহ নগরের বগুরা রোডস্থ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর বাসভবন ও বরিশাল ক্লাবে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে মালামাল নিয়ে যায়। পাশাপাশি নগর ভবন, সার্কিট হাউজ, বরিশাল প্রেস ক্লাব, শহীদ জননী সাহান আরা বেগম শিশু পার্ক ভাঙচুর চালানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫  ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৪
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।