ঢাকা: পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দুপুরে সচিবদের বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) তারুণ্যের শক্তির ওপর আলোকপাত করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, যে তারণ্যের শক্তির মাধ্যমে যে পরিবর্তন এসেছে, এর মাধ্যমে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা যেন সুযোগটাকে কাজে লাগাই। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগকে আগের চেয়ে ভালোভাবে ফাংশনাল (কাজ) করতে হবে, যেন কাজগুলোর বাস্তবায়ন করতে পারি। এ বিষয়ে তিনি সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, আমাদের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেই আছে। সরাসরি আমরা কীভাবে নথি উপস্থাপন করব, কীভাবে নির্দেশনাগুলো নেব, মূলত এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ১৫-১৬ বছরে যেসব বিসিএসের ব্যাচের পদোন্নতি হয়েছে, যারা পদোন্নতিবঞ্চিত, তাদের বিষয়টি আমরা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছি। ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা এসব বিষয় সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে। যারা পিএসসি থেকে বিসিএসের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ২৮ থেকে ৪২ ব্যাচের, তাদের বিষয়ও আমরা উপস্থাপন করেছি প্রধান উপদেষ্টার কাছে। আমরা আশা করছি কাল বা পরশুর মধ্যে এ বিষয়ে একটা প্রতিকার নিতে পারব।
চলমান প্রকল্পগুলো নিয়ে তিনি বলেন, মূলত মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তরগুলোকে ফাংশনাল করাটাই হচ্ছে এখনকার মূল কাজ। যে কাজগুলো সচিবালয় পর্যায়ে বা দপ্তর পর্যায়ে নিষ্পত্তি করা যাবে, সেগুলো যেন নিষ্পত্তি করা হয়।
জনপ্রশাসন সচিব আরও বলেন, অন্যান্য বিষয় যেগুলো আছে, সাত দিনের ভেতরে জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। যেগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, তার (প্রধান উপদেষ্টা) কাছে আমরা সিদ্ধান্তগুলো চাইব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
এমআইএইচ/আরএইচ