ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও, অবস্থান ধর্মঘট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও, অবস্থান ধর্মঘট

বান্দরবান: বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। কার্যালয় ঘেরাও করে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে সেখানে অবস্থান ধর্মঘট করেছেন তারা।

 

এছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার বাসভবনেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন ও চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের পদত্যাগের দাবিতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ব্যানারে স্থানীয় জনতা এ কার্যক্রম শুরু করেছেন।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে বান্দরবান জেলা শহর থেকে লাঠিসোঁটাসহ মিছিল নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা শহরের উপকণ্ঠে মেঘলা এলাকায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও করেন। কার্যালয়ের সামনে মূল সড়কে তারা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। বিক্ষুদ্ধ জনতা এক পর্যায়ে পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা ও সদস্যরা কেউ অফিসে ছিলেন না। ছাত্র-জনতার দাবির মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নিরাপদ জায়গায় সরে যান।

এদিকে পার্বত্য জেলা পরিষদ ঘেরাওয়ের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমানসহ তার দলের নেতাকর্মীরা। এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমানসহ পার্বত্য জেলা পরিষদের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারী কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে মূল ফটকে অবস্থান করেন।

পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

নেতৃবৃন্দ ও ঘেরাওকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে নির্বাচন না হওয়ায় সেখানে দুর্নীতি অনিয়ম প্রকট আকার ধারণ করেছে। সাধারণ জনগণ এসব জায়গা থেকে কোনো সেবাই পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত হচ্ছে। আর এতে দুনীর্তি ও অনিয়ম চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অবিলম্বে পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন এবং চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পদত্যাগের দাবি জানাই।  

বিকেলে আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে চলে যান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।