ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল স্বাভাবিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল স্বাভাবিক

ঢাকা: দাবি আদায়ে তিন দিনের (৭২ ঘণ্টার) আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা। এরপর থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ মোড়টিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে এ আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ মোড় ছাড়েন প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা। তারপর যান চলাচল শুরু হয়।

এর আগে দশ দফা দাবিতে বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন প্যাডেলচালিত রিকশা চালকরা। এ সময় শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘণ্টা খানেক অবরোধের পর রিকশা চালকরা চলে গেলে ফের যান চলাচল শুরু হয়।

তাদের দাবিগুলো হলো-

১. স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনে শহীদ সব রিকশাচালক ও আহতদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার আওতায় আনতে হবে।

২. যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতির আদলে বাংলাদেশের রিকশাচালকদের ১ নম্বরে রেখে শ্রমিক হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

৩. রিকশাচালকদের স্বাস্থ্য সেবা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. এ সেক্টরে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে ও কর্মের সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।

৫. বয়স্ক চালকদের দ্রুত পুনর্বাসনের আওতায় আনতে হবে।

৬. প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে রিকশাচালকদের জন্য পার্কিং ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা শারীরিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। শপিংমল ও বাজারের দারোয়ানদের অশ্লীল আচরণ বন্ধ করতে হবে।

৮. দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আটোরিকশা আগের নির্ধারিত এলাকায় চলবে। যদি মহল্লা ভিত্তিক অটোরিকশা চলে তাহলে রিকশাচালকদের জন্য নির্ধারিত করতে হবে।

৯. রাস্তার বামপাশ ভালোভাবে মেরামত করতে হবে।

১০. স্বাধীন দেশ সংস্কার কাজে রিকশাচালকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং তাদেরও সংস্কার কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সবাইকে ট্রাফিক আইন শেখার জন্য বাধ্য করতে হবে।

শাহবাগ মোড়ে ‘জাতীয় রিকশা ও ভ্যান চালক সংগঠন’ নামে দেওয়া প্রেস রিলিজে বলা হয়, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে রিকশাচালকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, মানুষ হয়ে ইঞ্জিনের চাকা ঘুরিয়ে দেশ গড়ার কাজে। বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ কাল রাতে হামলা করেছিল নিরস্ত্র রিকশাচালকদের ওপরে। এক রিকশার ওপরে পড়ে আছে যাত্রীর সঙ্গে চালকের লাশ, যা আজও জাতি স্মরণ করে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত রিকশা শ্রমিকরা অবহেলিত। তারা তাদের ন্যায্য অধিকার পায়নি। মানবাধিকার বঞ্চিত এ জনগোষ্ঠী। দেশের সব শ্রমিকেরা স্বাধীন, আর রিকশাচালকদের ফেলে দেওয়া হয়েছে আঁস্তাকুড়ে। সম্প্রতি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনে রিকশা শ্রমিকরাও প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ মনে রাখেনি। আমাদের বৈষম্য দূর হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ