ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপিত

ঢাকা: যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি তথা জন্মাষ্টমী।  

সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হয় জন্মাষ্টমী উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

জগতের সব প্রাণীর মঙ্গল কামনার পাশাপাশি জন্মাষ্টমীতে দেশের বন্যার্তদের জন্য প্রার্থনা করা হয়।  

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

হিন্দু পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরও বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।

সকাল ৮টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞের মাধ্যমে জন্মাষ্টমীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস চন্দ্র পালসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতারা গুরুবরণ করেন।  

এ সময় বাসুদেব ধর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম প্রতি বছরের মতো এবারো জন্মাষ্টমী উদযাপন করা হবে। এরইমধ্যে আকস্মিকভাবে বন্যায় দেশের একটি বিরাট অংশ প্লাবিত হয়ে গেল, জনগণের একটি বিরাট অংশ অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে পড়ল। আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম, পূজার বাইরেও এমন কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে, যেগুলো না করলেও চলে। যেমন অতিরিক্ত আলোকসজ্জা, শোভাযাত্রায় আমরা অনেক কিছু বাদ দিতে পারি, ধর্মীয় আঙ্গিকটা রেখে আমরা করতে পারি। সেদিক থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ অংশটা আমরা বন্যার্তদের জন্য পাঠিয়ে দেব। এটা নতুন নয়, জাতীয় যেকোনো দুর্যোগে আমরা এ কাজটা করেছি।  

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ৫ হাজার বছরেরও অনেক আগে পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়, নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়, তখন সেই অশুভ শক্তিকে দমন করে কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য যুগে যুগে ভগবান মানুষের মধ্যে অবতীর্ণ হন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।  

এদিকে দুপুরে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বের হয় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। উদ্বোধন করেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। নির্ধারিত সড়ক পরিক্রমা করে শোভাযাত্রাটি পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়। রাতে তিথি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে কৃষ্ণ পূজা।  

এদিকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি গেস্ট হাউস যমুনায় গিয়ে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ