ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

চিকিৎসককে মারধর: বিইউবিটির শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর নামে মামলা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
চিকিৎসককে মারধর: বিইউবিটির শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর নামে মামলা 

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিইউবিটির এক শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।  

এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- বিইউবিটির শিক্ষক শাহরিয়ার অর্ণব, শিক্ষার্থী পলজয়, সহাব তুর্জ ও সাইমি নাজ শয়ন।  

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢামেক হাসপাতালের অফিস সহায়ক আমির হোসেন (৫৩) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে. এম শাহাবুদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী এজাহারে অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ঢামেকের ২০০ নং ওয়ার্ডে ডা. কানিজ ফাতেমা ইসরাত জাহানের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাত একজন সড়ক দুর্ঘটনার রোগী ভর্তি হন। সেদিন রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে ভর্তি হওয়া ওই রোগী শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৭টায় মারা যান। পরে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করার জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শনিবার বিকেল ৪টায় হঠাৎ করে নিউরোসার্জারি বিভাগের ২০১ নং ওয়ার্ডের ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটারের ডা. আল মাশরাফিকে ৩০-৪০ জন লোক ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে মারতে মারতে তার গায়ের অ্যাপ্রোনটি খুলে ফেলে ফ্লোরে ফেলে দেয় এবং হাসপাতালে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তাকে মারধর করতে থাকে।  

বাদী বলেন, সে সময় ডা. মো. ইমরান হোসেন ও আমি এগিয়ে যাই। ডা. ইমরান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের কাছে মারধরের কারণ জানতে চাইলে এবং তাকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের থেকে বাঁচাতে গেলে সে সময় তাদের মধ্যে থেকে একজন বলে ওঠে, এই সেই ডাক্তার যে গতকাল ডিউটিতে ছিল। তখন তারা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ডা. ইমরানকে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগে হাসপাতালে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারতে শুরু করে এবং টেনে হিচঁড়ে মারতে মারতে তার গায়ের পোশাক ছিঁড়ে হাসপাতালের পরিচালক স্যারের অফিস রুমে নিয়ে যায় এবং সেখানে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখে।  

এদিকে এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপর রোববার (১ সেপ্টেম্বর) মারধর ও জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সকাল থেকেই জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান তারা।

পরে অবশ্য সেনাবাহিনী ও বিজিবির নিরাপত্তায় জরুরি চিকিৎসা সেবা চালু করেছেন চিকিৎসকরা। রোগীদের জন্য টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসারের রুমে চিকিৎসকরা অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
এসজেএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।