ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নোয়াখালীতে চারজনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ, পিটুনিতে আহত একজনের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
নোয়াখালীতে চারজনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ, পিটুনিতে আহত একজনের মৃত্যু মো. আব্দুস শহীদ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় গণপিটুনিতে মো. আব্দুস শহীদ (৪৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই যুবক আগে থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং একাধিক মামলার আসামি ছিলেন।

 

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের সূর্যনারায়ণবহরপুর ইসমাইল মুহুরীর বাড়ি থেকে শহীদসহ চার যুবককে পিটুনি দিয়ে একটি পাইপগানসহ যৌথ বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।    

মো. আব্দুস শহীদ উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামের মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে।  

এদিকে, ওই যুবককে রশি দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় বেধড়ক পেটানোর এক মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় স্থানীয়রা জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল মুহুরী বাড়িতে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘেরাও করে একটি পাইপগানসহ আব্দুস শহীদ (৪৩), মো. জামাল হোসেন (৪২), মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ হোসেন (৩৬) নামে চার যুবককে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ওই পাইপগানসহ চার যুবককে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করে। পরে আহত শহীদকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।  

এ বিষয়ে জানতে শহীদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক তাদের পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে আব্দুস শহীদকে পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে বলা হয়েছে, ‘আব্দুস শহীদকে পিটিয়ে মেরেছে বিএনপির সন্ত্রাসীরা। শহীদের মৃত্যুর আগে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ততক্ষণে তার জীবন প্রায় নাই বললেই চলে। ’  

জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির লোকজন এ ঘটনায় জড়িত, কথাটা ঠিক নয়। সে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল। স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে মারধর করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে।  

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, ছাত্র-জনতা ঘেরাও করে চারজন সন্ত্রাসীকে আটক করে। শহীদ গণপিটুনিতে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। আটকরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।