ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিএডিসির স্টোরকিপারের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিএডিসির স্টোরকিপারের নামে মামলা স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্ত

নোয়াখালী: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা অফিসে তথ্য সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।  

রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্তকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বাদী মাহবুবুর রহমান দৈনিক বাংলা পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি এবং নোয়াখালী প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য। এ ঘটনায় দেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাওলা জিয়াউল আহসান সুজনও হামলার শিকার হন।

মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ অক্টোবর আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এরপর পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। অবশেষে তিন দিন পর পুলিশ মামলা দায়ের করে।  

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, এ ঘটনায় একজনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।  

প্রসঙ্গত,  গত ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে উপ পরিচালক বরাবরে তথ্য চেয়ে আবেদন ফরম জমা দিতে যায় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান ও দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি মাওলা রকিবুল আহসান সুজন। সেখানে উপপরিচালক (বীজ বিপণন) নুরুল আলমের সঙ্গে তার কক্ষে কথা বলার সময় প্রতিষ্ঠানের স্টোরকিপার মিরাজ হোসেন ওরফে শান্ত কক্ষে প্রবেশ করে হঠাৎ ভিডিও করা শুরু করেন।  

একপর্যায়ে সাংবাদিকরা চাঁদা নিতে এসেছেন, এমন দাবি করে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তাকে চিৎকার-চেঁচামেচি ও ভিডিও করা বন্ধ করতে বলা হলে কর্মচারী মিরাজ হোসেন তাকে কিলঘুষি দিতে শুরু করেন। পরে মারধরের জন্য লাঠি নিতে মিরাজ বের হলে কক্ষে থাকা অপর সাংবাদিক রকিবুল আহসান দরজা বন্ধ করে দেন।  

গত বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর উপ-পরিচালক নুরুল আলম এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে স্টোরকিপার মিরাজ হোসেনকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে 'এ ঘটনা কেন ঘটিয়েছেন' মর্মে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।