ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা হতে দুর্ধর্ষ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি-রমনা বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ ইমরান হোসেন (২৪) ও মোঃ শিপন (১৯)।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বুধবার হাজারীবাগ থানার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিম।
ডিবি-রমনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাজারীবাগ থানার আর.এস. ফিলিং স্টেশনের সামনে বেড়িবাঁধের উপর একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে মর্মে গোপন তথ্য পাওয়া যায়। তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবি-রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিম।
ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে ও মোটরসাইকেলে করে পালানোর সময় ইমরান ও শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর দেহ তল্লাশি করে ইমরানের সাথে থাকা ব্যাকপ্যাগ থেকে একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ সময় তাদের সাথে থাকা অন্যান্যরা দৌঁড়ে ও মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাজারিবাগ থানায় গ্রেপ্তারকৃতরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা মোহাম্মদপুর এলাকার চিহ্নিত ডাকাত দল ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা মোটরসাইকেলে করে এসে সুযোগ বুঝে রিকশা, সিএনজি বা অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি করতো। এছাড়া তারা মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে মাদক, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতো।
পুলিশের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, গ্রেপ্তারকৃত ইমরানের বিরদ্ধে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ডাকাতি ও হত্যা চেষ্টার দুটি মামলা রয়েছে। অপর গ্রেপ্তারকৃত শিপনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডাকাতি, হত্যা ও হত্যা চেষ্টার চারটি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯,২০২৫
এজেডএস/এমএম