যশোর: বৌ-শাশুড়ির সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লোকমুখে শোনা কথা গ্রামীণ জনপদ ছাপিয়ে শহুরে সমাজেও ছড়িয়ে পড়েছে। তা স্থান করে নিয়েছে সাহিত্যাঙ্গণেও।
তবে, এবার বৌ-শাশুড়িদের নিয়ে ব্যতিক্রমী এক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে গৌরীঘোনা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় বৌ-শাশুড়ি সমাবেশ। এতে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকশ’ নারী অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে অংশ নেওয়া সবাই ছিলেন নিজ নিজ পরিবারের বৌ ও শাশুড়ি।
ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন উপজেলাব্যাপী ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। প্রতিটি কর্মসূচি পরিণত হচ্ছে মিলনমেলায়। সেখানে বৌ-শাশুড়ির চিরায়ত বিরোধের কাহিনীর পুনরুল্লেখ না করে রচিত হচ্ছে সম্পর্কের নিবিড় বন্ধন। ফ্যাসিবাদ উত্তর বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে নারী মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষা নিচ্ছেন তারা।
যশোর জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নাজমা সুলতানার সভাপতিত্বে শনিবারের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও উপজেলা সভাপতি আবুল হোসেন আজাদের সহধর্মিনী রেহেনা আজাদ।
রেহেনা আজাদ বলেন, আমাদের সমাজে একটা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে বৌ আর শাশুড়ির সম্পর্ক কখনো ভালো হতে পারে না। এটা দু’একটি ক্ষেত্রে দেখা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের সম্পর্ক মা-মেয়ের। বৌমা-শাশুড়ি মিলেই একটি সংসারকে পরিপূর্ণভাবে পরিচালিত করছেন। আবার তারা বাইরে বের হয়ে রাষ্ট্র গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তিনি বলেন, তৃণমূলের নারীদেরকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের যাত্রায় সামিল করতেই এই আয়োজন করা হয়েছে। এসব সমাবেশে যারা আসছেন তাদের অধিকাংশই সম্পর্কে বৌ-শাশুড়ি। ফ্যাসিবাদের পতনে নারীরা যেভাবে রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন তাদেরকে এখনো সক্রিয় থাকতে হবে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় পূর্ণতা দিতে। সেই মন্ত্র উচ্চারিত হচ্ছে এসব বৌ-শাশুড়ি সমাবেশে।
শনিবারের সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর জেলা মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুর নাহার নুরি, গৌরীঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মাহামুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্দুল গফফার, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রুবেল হাসনাত, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা গাজী বাবর আলী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
নিউজ ডেস্ক