ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ফুলজোড় নদীতে একদিন পর মিলল নিখোঁজ অপর দুই স্কুলছাত্রের মরদেহ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
ফুলজোড় নদীতে একদিন পর মিলল নিখোঁজ অপর দুই স্কুলছাত্রের মরদেহ  ফুলজোড় নদীতে উদ্ধার অভিযান শেষ

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ফুলজোড় নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা। এর আগে গতকাল ০১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সন্ধ্যার পরে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ নিয়ে নিখোঁজ তিন ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার হলো।  

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা ফুলজোড় নদীর ঝাঁটিবেলাই এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে কৃষ্ণ নিয়োগী (১৫) ও সারজিলের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করে।  

নিহত কৃষ্ণ সিরাজগঞ্জ শহরের বাহিরগোলা ঘোষপাড়া মহল্লার মৃত বিশ্বজিৎ নিয়োগীর ছেলে ও সারজিল মাসুমপুর মহল্লার অধ্যাপক ইমরুল হাসান সোহেলের ছেলে। এর আগে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাফি (১৫) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা। রাফি ঝাঁটিবেলাই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। এরা সবাই সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।  

কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর অপু কুমার মণ্ডল বলেন, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহর থেকে বেড়াতে এসে ঝাটিবেলাই এলাকায় ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় তিন স্কুল শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাফির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর রাতে রাজশাহী থেকে ডুবুরিদল এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আলো স্বল্পতার কারণে রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে ডুবুরিদল। বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যেই সারজিল ও কৃষ্ণ নিয়োগীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  

প্রত্যক্ষদর্শী সৈকত ও আব্দুল মমিন জানান ঝাঁটিবেলাই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রঞ্জুর নাতি জারিফের পাঁচ বন্ধু তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বেড়াতে এসে তারা ছয়জন দুপুরে ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে তিনজন নদীতে ডুবে যায়। অপর তিনজন সাঁতরে উঠে আসে।  

নদী সাঁতরে বেঁচে ফেরা শিফাত বলেন, আমরা যখন সবাই গোসল করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে তিন চারজন সাঁতরে ভেতরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেখানে নদী অনেক গভীর ছিল, নিচের দিকে স্রোতও ছিল। আমি সবাইকে ভেতরের দিকে যেতে মানা করছিলাম। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। একপর্যায়ে পাঁচজনই তলিয়ে যাচ্ছিল, আমি খুব কষ্ট করে দুজনকে টেনে পারে তুলে নিয়ে এসেছি।  

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেসুর রহমান জানান, নিহত স্কুলছাত্রদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।