ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শহীদ মিনারে কফিন কাঁধে মিছিল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাইল ছাত্র-জনতা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
শহীদ মিনারে কফিন কাঁধে মিছিল, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাইল ছাত্র-জনতা

ঢাকা: আওয়ামী লীগের হামলায় নিহত আবুল কাশেমের কফিন কাঁধে নিয়ে মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ছাত্র-জনতা। মিছিলে তারা ‘আর নয়-ছয় না করে’ দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আবুল কাশেমের জানাজা হয়। এরপর মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হয়ে শাহবাগ গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, স্বৈরাচার পতনের ৬ মাস পরেও আমাদের সহযোদ্ধাদের কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এখনো দুঃসাহস দেখাচ্ছে। বিগত দেড় দশকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এদেশে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, এই লাশ সে ত্রাসের ধারাবাহিকতা। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে গণহত্যা হয়েছে। হত্যায় জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি আওয়ামী লীগ। এতো কিছুর পর আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করার বিন্দু পরিমাণ অধিকার রাখে না। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব।

তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগের সকল অপরাধ ও গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং দলটির রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। জাতিসংঘ গণহত্যার প্রমাণ বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছে। দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজ ফ্যাসিবাদের প্রামাণ্য দলিল আয়নাঘর সবার সামনে এসেছে। জাতিসংঘ গণহত্যার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতকিছুর পরও আওয়ামী লীগের হাতে আমার বিপ্লবী ভাইয়ের শাহাদাত আমাদেরই ব্যর্থতা। আমরা এতদিনে সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি; আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি। বিগত সময়ে শেখ হাসিনা দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে এদেশকে ভাড়া দিয়ে রেখেছে। ৫ আগস্টের বিজয়ের পর এ ভূখণ্ডের দখল আমরা পেয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এই ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, আজ বিপ্লবীদের কেন শহিদ হতে হচ্ছে? অন্তর্বর্তী সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। জুলাইয়ের একজন সৈনিক বেঁচে থাকলেও আওয়ামী লীগের কবর রচনা করতে লড়াই চালিয়ে যাব। আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ করলে হবে না। যারা বিভিন্নভাবে তাদের পক্ষ নিচ্ছে প্রত্যেককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি সরকার তা না করে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা বিপ্লবকে সম্পন্ন করতে সে দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
এফএইচ/এমজে

 

 
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।