ঢাকা: র্যাব বিলুপ্তি, পুলিশ প্রবিধান সংশোধন, ডিজিএফআইকে সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাসহ জাতিসংঘ যেসব সুপারিশ দিয়েছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
পতিত শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন বিষয়ে গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন। এতে তারা বলেছে, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ শতাধিক মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে জাতিসংঘ মূলত পাঁচটি খাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যাপক সংস্কারের সুপারিশ করেছে, সেগুলো হলো জবাবদিহি ও বিচারব্যবস্থা, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী, নাগরিক পরিসর, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক সুশাসন। সংস্থাটি বলছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সবার আগে এসব খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।
জাতিসংঘের দেওয়া সুপারিশে র্যাব বিলুপ্তির কথা বলা হয়েছে। করা হয়েছে পুরো পুলিশ প্রবিধান সংশোধনের সুপারিশ। বিজিবিকে সীমান্তরক্ষা, ডিজিএফআইকে সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ও আনসারের ওপর সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ না রাখার বিষয়েও সুপারিশ দিয়েছে জাতিসংঘ।
এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, একটা প্রস্তাব তারা দিয়েছে, আমরা সবাই বসবো। বসার পর আমাদের যা ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) সেটা আমরা জানাবো। তাদের এই তদন্তের বিষয়ে আমরা তো সবাই স্বাগত জানিয়েছি। তারা একটা ভালো কাজ করেছে। আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।
বাংলাদেশ সময় ১৩১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
এসকে/এমএম