বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মাইন বিষ্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছেন আনসার ভিডিপির এক সদস্য। তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ১১ বিজিবির অধীনস্থ নিকোছড়ি বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৪২/২ এস-এর শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ৩০০ মিটার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরকান আর্মিরক পুঁতে রাখা মাইন বিষ্ফোরণে মোহাম্মদ নবী হোসেন (৪৮) নামের ওই আনসার সদস্য আহত হন।
তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের হামিদাপাড়া ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, হরিণ শিকার করার জন্য বাংলাদেশের ভুখণ্ড পেরিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যান মোহাম্মদ নবী হোসেন। এ সময় স্থল মাইন বিস্ফোরণে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়। সংবাদ পেয়ে আহত আনসার সদস্যকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ইউপি সদস্য মো. ফরিদ জানান, ঘটনা সম্পর্কে তিনি শুনেছেন। আহত নবী হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার স্বজনেরা কক্সবাজার নিয়ে গেছেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুরুল হক স্থল মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলদেশির আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী লেম্বুছড়ি বিওপির সীমান্ত পিলার ৪৯-৫০ এর মধ্যবর্তী এলাকায় আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা স্থল মাইন বিস্ফোরণে সিরাজুল ইসলাম (৩৩) নামে এক বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৫
এমজেএফ