রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গ্রাম্য সালিশে একই পরিবারের ২০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আহতদের বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া গ্রামের সবুর শিকদার (৫০), নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন (৫৫), হুমায়ুন কবির (৪২), তুহিনুর রহমান (৩৪), আলমগীর হোসেনের ছেলে রাশেদুল মোল্যা (২৫), বাচ্চু মোল্যার ছেলে ফরহাদ মোল্যা (৩৮), আজিজুল মণ্ডলের ছেলে নাসির মণ্ডল (৪৫), আব্দুর রহিম (৫০), মজিবর রহমানের ছেলে বাবলু মোল্লা (৩৫), শিবলু মোল্লা (৩২), আজিজুল মণ্ডলের ছেলে নাসির মণ্ডল (৪৫), আরব আলীর ছেলে ইলিয়াস সিকদার (৪৫), আশরাফ শিকদার (৫২), খোরশেদ মোল্লার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০), জিল্লু শিকদারের স্ত্রী রিক্তা শিকদার (৩০), রফিক শিকদারের স্ত্রী হাসি খাতুনসহ (৩৫) ২০ জন।
আহত সবুর শিকদারের ভাতিজা নুরুজ্জামান শিকদার বলেন, প্রতিবেশী জহুরুল মণ্ডলের সঙ্গে আমার চাচা সবুর শিকদারের জমি নিয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। গত বৃহস্পতিবার বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ঘর তোলেন জহুরুল। এ বিষয়টি আমরা বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউল আজম চুন্নু ও নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ওহাব মন্ডলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। তারা দুই পক্ষকে নিয়ে আজ সকালে বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে সালিশে বসেন। সকাল ১১টার দিকে সালিশ চলাকালে হঠাৎ করেই জহুরুল মণ্ডলের নেতৃত্বে লতিফ শেখ, সেলিম মণ্ডল, রিপন সরদার, জিয়া সরদার, আসাদসহ অন্তত দুই শতাধিক লোক রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লাঠি, হকি স্টিক ও হাতুড়ি নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আমাদের অন্তত ২০ জনকে গুরুতর জখম করে। এছাড়াও তারা আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে ১২জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ৪ জন বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউল আজম চুন্নুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন কোনো কথা বলতে পারবো না। পরে ফোন দিয়েন।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় কেউ এখনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৫
আরএ