ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

জামায়াত নেতাদের মাইক্রোবাসে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৫
জামায়াত নেতাদের মাইক্রোবাসে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৪ গ্রেপ্তার চার ডাকাত

সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক নেতাদের মাইক্রোবাসে হামলা করে টাকা ও মোবাইলফোন লুটের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জের পৃথক তিনটি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  

এরা হলেন- সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এলাকার মাহমুদপুর ৩ নম্বর গলির হামিদুল ইসলামের ছেলে মো. তুষার হোসেন (৩০), রায়পুর উত্তরপাড়া (১ নম্বর মিলগেট) এলাকার আব্দুল লতিফ খানের ছেলে তুষার আহম্মেদ অন্তর খান (২৯) ও কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ী গ্রামের মানিক মণ্ডলের ছেলে আব্দুর রহিম মণ্ডল (৩৬)।  

গ্রেপ্তার অপরজন কামারখন্দের কোনাবাড়ী গ্রামের সোলেমান মণ্ডলের ছেলে মো. রাশেদুল ইসলাম ওরফে কেতু ওরফে কেচু (৩৫)।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, গত ০৯ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে কোনাবাড়ী এলাকায় ডাকাতির স্বীকার হয় জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক নেতাদের মাইক্রোবাসটি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পর ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ফারুক হোসেনের নির্দেশে একটি টিম গঠন করা হয়।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামারখন্দ সার্কেল ও গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইনের নেতৃত্বে গঠিত টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডাকাতদের শনাক্ত করেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি রামদা, একটি হাসুয়া, একটি ডেগার, একটি লোহার রড জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া লুট হওয়া তিনটি মোবাইলফোন ও ১৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার রাশেদুল ইসলাম ওরফে কেতুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৭টি ডাকাতি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলা রয়েছে। এছাড়া একই অভিযোগে বিভিন্ন থানায় তুষার হোসেনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। রাশেদুল ইসলাম কেতু বাদে বাকিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  

উল্লেখ্য, গত ০৯ মার্চ রাতে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সম্মেলনে অংশ নেওয়া শেষে মাইক্রোবাসযোগে রাজশাহী ফিরছিলেন শিক্ষক নেতারা। রাত ৯টার দিকে মাইক্রোবাসটি যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ী ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকায় এলে ডাকাতরা মাইক্রোবাসটির পেছনে ঢিল ছোড়ে। ঢিলের বিকট শব্দে চাকা পাংচার হয়েছে, চালক এমনটা ভেবে মাইক্রোবাসটি রাস্তার পাশে দাঁড় করান। পরে মহাসড়কের সাইড থেকে সাত-আট জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাইক্রোবাসটিতে হামলা চালায়। সংঘবদ্ধ ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জামায়াত নেতাদের সাতটি মোবাইলফোন ও প্রায় ৭৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়।  

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জামায়াত নেতা ড. মো. ওবায়দুল্লাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।