নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সংযোগ সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উদ্বোধনের তিন বছরের মাথায় সেতুর সংযোগ সড়কের এই অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন লক্ষ্যাপাড়ের মানুষ।
মঙ্গলবার (২০ মে) শীতলক্ষ্যা সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কটি ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সৈয়দপুর অংশের সংযোগ সড়কটির পাশে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানচলাচলে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, সেতুটি নির্মাণকালে এখানে বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার জন্য কোনো পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এর ফলে বৃষ্টির পানি সরাসরি এই সেতুর সংযোগ সড়ক দিয়েই নামে। ফলে সেতুর সংযোগ সড়কের নিচের মাটি সরে এই গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার রাতে টানা কয়েকঘণ্টা বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় বৃষ্টির পানির তোড়ে মাটি আলগা হয়ে এক পর্যায়ে সেতুর সংযোগ সড়কটির একটি পাশের কিছু অংশ ধসে পড়ে। পরে সেতু কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে জায়গাটি চিহ্নিত করে যায়। তবে এখনও এটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
তারা আরও জানান, সামনে বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টিপাত বাড়লে সেতুর সংযোগ সড়কের এই অংশে আরও ভাঙন দেখা দিতে পারে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপদের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আলরাজী লিয়ন বলেন, আমরা কিছুদিনের মধ্যেই এটার মেরামতের কাজ শুরু করবো। বৃষ্টির কারণে মাটি সরে গিয়ে এই ধসের ঘটনাটি ঘটেছে। বৃষ্টির ফলে ব্রিজের এক পাশ দিয়েই প্রচুর পানি নামতে থাকে। এর ফলে ঘটনাটি ঘটেছে।
ব্রিজের ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্রিজের ওপর একটা বাক রয়েছে। এটাকে সুপার এলিভেশন বলা হয়ে থাকে। এর ফলে সাধারণত দুই পাশের পানি একদিক দিয়েই নামে। সেখানে আমাদের সসার ড্রেন রয়েছে। কিন্তু এর নিচে কিছু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট রয়েছে। পানি নেমে নিচে মানুষের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে ঢোকে। এর ফলে স্থানীয়রা ড্রেনটির মুখ বালুর বস্তা দিয়ে প্রায়ই বন্ধ করে দেয়। ফলে পানি বের হতে পারে না এবং ব্রিজের এক পাশ দিয়েই পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হতে থাকে। ফলেই সংযোগ সড়কটির মাটি সরে ধসে গেছে। আমরা পরিকল্পনা করছি ড্রেনেজ ব্যবস্থাটি সংস্কারের জন্য।
এমআরপি/আরবি